চন্দ্রকোনা : ব্যাঙ্কে (Bank) গিয়েছিলেন টাকা তুলতে। তুলেও ছিলেন ৫০ হাজার টাকা। বাইকে ব্যাগ ঝুলিয়ে যেই না রওনা দিতে যাবেন ওমনি এক যুবক এসে ছিনতাই করে নেয় সেই ব্যাগ। পাশেই বাইকে অপেক্ষা করছিল আর একজন। মুহূর্তেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় তাঁরা। এদিন দুপুরে এমনই চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা থানার ঝাঁকরা এলাকায়। সূত্রের খবর, ঝাঁকরা গ্রামীণ বিকাশ কেন্দ্র নামের একটি ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন চন্দ্রকোনারই পান্ডুয়া গ্রামের বাসিন্দা নেপালচন্দ্র কারক। অভিযোগ, তাঁর টাকা এদিন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে দুই দুষ্কৃতী। ঘটনার আকস্মিকতায় সাময়িকভাবে বাকরুদ্ধ হয়ে যান নেপালবাবু। শুরু করে দেন চেঁচামেচি। তাঁর চেঁচামেচি শুনেই দুই দুষ্কৃতীকে ধাওয়া করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সূত্রের খবর, টাকার ব্যাগ ছাড়িয়ে ছিনতাইকারীরা কিছুটা এগিয়ে গেলেও রাস্তায় যানজটে আটকা পড়ে যায়। ধরা পড়ে যায় চালকের আসনে থাকা যুবক। তাঁকে ধরে উত্তম-মধ্যম দিতে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। তবে ততক্ষণে ব্যাগ নিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে অন্যজন। ধৃতকে স্থানীয় একটি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়। খবর দেওয়া হয় চন্দ্রকোনা থানারয়। মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে য়ায় পুলিশ। ছিনতাইকারীকে আটক করতে গেলে পুলিশকে ঘিরে এক দফা বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া যুবককে টাকা সমেত না ধরা পর্যন্ত আটক ছিনতাইকারীকে ছাড়া হবেনা। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়।
যদিও শেষ পর্যন্ত উত্তেজিত জনতাতে শান্ত করতে সমর্থ হয় পুলিশ। পঞ্চায়েত অফিস থেকে ধৃতকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। সেখানই তাঁকে জেরা করে ছিনতাইকারী যুবকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এদিনে দিনদুপুরে আচমকা এ ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনা প্রসঙ্গে নেপাল চন্দ্র কারক বলেন, “৫০ হাজার টাকা তুলে ব্যাঙ্ক থেকে বাইরে এসেছিলাম। টাকার ব্যাগ বাইকের হ্যান্ডেলে ঝুলিয়ে রওনা দেওয়ার তোড়জোড় করছিলাম। একটু অন্যমনস্ক হয়েছি তখনই টাকার ব্যাগ নিয়ে দুজন পালিয়ে যাচ্ছিল। আমি জানি না ওরা আমাকে আগে থেকে ফলো করছিল কিনা।”