Debra: বাংলার বাড়ি থেকে বঞ্চিত, ৪ মাসের শিশুকে নিয়ে ত্রিপল-ছাওয়া ঘরে বাস লোধা পরিবারের
Debra: দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান আশিস ভক্তা। তাঁর বক্তব্য, "২৫ বছর ধরে এই ঘরেই আমরা থাকি। কষ্টের মধ্যেই আছি। অনেকদিন আগেই আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেছিলাম। তৃণমূল বলছে, আমার নাম আবাস যোজনায় উঠেছে। টাকা পাব। তবে এখনও পাইনি। লিস্টে নাম আছে কি না জানি না।"

ডেবরা: ছিটেবেড়ায় মাটি লেপা। বেশিরভাগ জায়গায় মাটি খসে পড়েছে। সেখানে কোথাও খড় দেওয়া। কোথাও চটের থলে। আর বাড়ির ছাউনি বলতে ত্রিপল। কালো ত্রিপল কোথাও কোথাও ছিঁড়ে গিয়েছে। এমনই বাড়িতে চার মাসের সন্তানকে নিয়ে থাকতে হয়। তারপরও বাংলার বাড়ি থেকে বঞ্চিত তাঁরা। এমনই অভিযোগ তুলে সরব হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের ৬ নম্বর জলিমান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের চকসাহাপুর গ্রামের আশিস ভক্তা। স্ত্রী ও চারমাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে এখনও ত্রিপল ঢাকা ঝুপড়িতে বসবাস করছেন তিনি।
শুধু বসবাস নয়, প্রতিদিন প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করেই এই লোধা-শবর পরিবারের দিন কাটে। ছিটেবেড়া ভাঙাচোরা, রোদ-বৃষ্টির দাপটে নড়বড়ে খড়ের ছাউনি, ঠান্ডা আটকাতে যত্রতত্র খড় গুঁজে কোনওরকমে রাত পার করা, এটাই আশিস ভক্তার পরিবারের বাস্তব চিত্র।
দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান আশিস ভক্তা। তাঁর বক্তব্য, “২৫ বছর ধরে এই ঘরেই আমরা থাকি। কষ্টের মধ্যেই আছি। অনেকদিন আগেই আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেছিলাম। তৃণমূল বলছে, আমার নাম আবাস যোজনায় উঠেছে। টাকা পাব। তবে এখনও পাইনি। লিস্টে নাম আছে কি না জানি না।” তাঁর আরও বক্তব্য “ভোটের সময় এলেই সবাই বলে, ভাই আমাদের ভোটটা দিবি। তারপর আর কোনও সাহায্য পাই না।”
এই খবরটিও পড়ুন




বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই ডেবরা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ কর জানান, বিষয়টি তিনি দেখছেন এবং দলীয়ভাবে কীভাবে সাহায্য করা যায়, তা বিবেচনা করছেন। পাশাপাশি, আশিষকে ডিএম-এর কাছে আবেদন করার অনুরোধ করেছেন।
কিন্তু, কেন বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না আশিস ভক্তা? জেলা পরিষদের শিশু ও নারী কর্মাধ্যক্ষ শান্তি টুডু জানান, “বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে নিজস্ব জায়গা থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু আশিস ভক্তার নিজের জমি নেই। মামাবাড়ির জায়গায় থাকেন। তাই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তিনি এই সুবিধা পাচ্ছেন না। তাঁর মামাকে বলা হয়েছে, জায়গাটা আশিসের নামে করে দিতে। তিনি রাজি হয়েছেন। তবে বাড়িটি আপাতত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেজন্য বিষয়টি জেলাস্তরে জানানো হয়েছে।”





