
কোলাঘাট: স্কুলের বাইরে অপেক্ষায় প্রেমিক। স্কুলের পোশাক পরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ক্লাস এইটের ছাত্রী। আর স্কুলের সামনে দাঁড়ানো প্রেমিকের বাইকে ওঠে চম্পট দিল সে। যদিও স্কুলের এক শিক্ষক তা দেখে ফেলেন। খবর পেয়ে ওই ছাত্রী ও তার প্রেমিকের খোঁজে নামে পুলিশ। শেষপর্যন্ত কোলাঘাটে ব্যারিকেড করে তাদের ধরা হয়।
ডেবরা থানা এলাকায় বাড়ি ওই ছাত্রীর। স্থানীয় একটি স্কুলে পড়ে। মঙ্গলবার ওই ছাত্রী ও তার প্রেমিককে বাইকে করে পালাতে দেখে এক শিক্ষক প্রথমে স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ারকে খবর দিয়েছিলেন। তারপর খবর যায় ডেবরা থানা ও মেয়েটির পরিবারে। ডেবরা থানায় খবর যাওয়া মাত্র প্রেমিক-প্রেমিকাকে ধরতে আসরে নামে ডেবরা থানার পুলিশ। ডেবরা-শ্রীরামপুর এলাকায় নাকা পয়েন্ট টপকে ততক্ষণে বেরিয়ে গিয়েছে ওই ছাত্রী ও তার প্রেমিক। ডেবরা থানার পুলিশ তখন যোগাযোগ করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থানার সঙ্গে।
কিন্তু, পাঁশকুড়া থানা পদক্ষেপ করার আগেই পাঁশকুড়া পেরিয়ে কোলাঘাটের দিকে চলে যায় ওই ছাত্রী ও তার প্রেমিক। তখন কোলাঘাট থানার পুলিশ সিদ্ধা বাজারের কাছে ব্যারিকেড করে। সেখানেই ধরা পড়ে প্রেমিক-প্রেমিকা।
অন্যদিকে, সবংয়ে আর একটি ঘটনায় হতচকিত হয়ে যায় সবং থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, সবং এলাকার মোহাড় অঞ্চলের কাঁটাখালি এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সবংয়ের এক যুবতীর। প্রমিস ডে-তে রাতে প্রমিস করতে বাইকে করে সবংয়ে এসেছিল যুবক। রাস্তার উপর বাইক রেখে প্রেমিকার বাড়িতে যায়। রাতে টহলরত সবং থানার পুলিশের নজরে আসে সেই বাইক। পুলিশ গাড়ি দাঁড় করিয়ে বাইকটি কার জিজ্ঞেস করলে কোন উত্তর না পেয়ে বাইকটিকে সবং থানাতে নিয়ে যায়। ভোরে প্রেমিকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যুবক দেখেন, রাস্তার উপর বাইক নেই। যুবক বাড়ি গিয়ে পরিবারের জানান, বাইক চুরি হয়ে গিয়েছে। যুবকের মা পেশায় আশাকর্মী। এদিন বিকালে সবং থানার দ্বারস্থ হন ওই প্রেমিক যুবক ও তাঁর মা। থানাতে বাইক চুরির ফন্দি সাজান। অভিযোগে লেখেন, তাঁর বাইক বাড়ি থেকে কেউ বা কারা চুরি করেছে। অভিযোগ পড়ে সবং পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। সবং থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক প্রেমিকের বাইক চুরির সাজানো নাটক ধরে ফেলেন।