
দাসপুর: মেলা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন এক আদিবাসী মহিলা। বাড়ি ফেরার পথে ওই মহিলাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, যেখানে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে তা তাঁর বাড়ির থেকে বেশি দূরে নয়। এই ঘটনার কথা সামনে আসেতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। গণধর্ষণের ঘটনা মিটমাট করে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। কিন্তু অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান নির্যাতিতা। আদিবাসী সংগঠনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। আদিবাসী জনকল্যাণ উন্নয়ন মঞ্চ নামের ওই সংগঠনের সহায়তায় গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার রাতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানা এলাকায়। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্ত গ্রেফতার হননি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে বাড়ি ওই আদিবাসী মহিলার। তাঁর বয়স ৪৫ বছর। ২৩ ফেব্রুয়ারী রাতে ৪৫ বছর বয়সী আদিবাসী মহিলা মেলা দেখতে গিয়েছিলেন। মেলা থেকে ফেরার পথে রাতের অন্ধকারে একটি ইঁটভাটার সামনে দুই যুবক ওই মহিলাকে জোর করে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে জানানো হয়েছে, গণধর্ষণে অভিযুক্তরা ইটভাটার কর্মী। মেলা দেখে ইঁটভাটার পাশের রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ওই দুই যুবক অতর্কিতে মহিলার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এবং অত্যাচার চালায়। ওই মহিলা চিৎকারে আশপাশের এলাকার মহিলারা আসেন। এবং নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেন। প্রথমে পুরো বিষয়টি মিটমাট করে নেয়ার কথা বলা হয় বলে অভিযোগ। যদিও ওই মহিলা দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়ে আদিবাসী সংগঠনের দ্বারস্থ হন। এর পর শনিবার রাতে দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দাসপুর থানার পুলিশ। দাসপুর পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।