পশ্চিম মেদিনীপুর: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। তৃণমূল নেতার অভিযোগ,বাম আমলে সিপিএম-এর আত্মীয়দের মধ্যে কম করে ৫০০ জনের বিনা সাক্ষাৎকারে চাকরি হয়েছে। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধেও তোপ অজিতের। রেল-এইমসের বিভিন্ন জায়গাতে ক্যাজুয়ালের নামে বিজেপি নেতার আত্মীয়দেরকে ঢোকানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। যদিও, অজিত মাইতিকে পাল্টা তোপ দিয়েছে সিপিএম-এর জেলা সম্পাদক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের।
অজিত মাইতি বলেন, “৩৪ বছরের শাসনে বামফ্রন্টের লোকজন কত আত্মীয়কে চাকরি দিয়েছেন, কত চিরকূটে চাকরি তাঁর প্রমাণ মিলেছে। একা সুশান্ত ঘোষের পরিবারেই ২২ জন চাকরি পেয়েছেন। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরেই কম করে ৫০০ জন চাকরি পেয়েছেন যাঁরা সিপিএম নেতাদের আত্মীয়। এগুলো তদন্ত হলেই বোঝা যাবে।” পাল্টা যুক্তি খাড়া করেছেন বাম নেতা সুশান্ত ঘোষ। তিনি বলেন, “আমাকে অনেকভাবেই হেনস্থা করার চেষ্টা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় জেলে ভরে আমায় রাজনীতিগতভাবে শেষ করার চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষ সুশান্ত ঘোষকে চেনেন। আর শাসকদলের নেতা-নেত্রীও চেনেন।”
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটায় বিদ্ধ শাসকদল। একের পর এক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী গারদে। এ হেন পরিস্থিতিতে শাসকদলের নজরে এখন প্রাক্তন শাসকদল। ইতিমধ্য়েই বাম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একপ্রকার কাঁটাছেঁড়া করতে শুরু করেছে এ রাজ্যের শাসকদল (TMC)। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রী-র চাকরি কীভাবে হয়েছে তা নিয়ে যখন তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। এমন কী কারামন্ত্রী অখিল গিরির অভিযোগ তুলেছেন বাম নেতা সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে। তিনি নাকি তাঁর পরিবারের প্রায় ১৫ জনকে চাকরি দিয়েছেন। এরপর ফের সরব হলেন তৃণমূলের আরও এক নেতা।