ঘাটাল: সমবায় নির্বাচনে সামনে এল শাসক দলের কোন্দল। তৃণমূলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধেই পড়ল পোস্টার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের মৌলা পরমানন্দপুর সমবায় সমিতির ঘটনা। এমন পরিস্থিতি ১১টি ফর্ম তোলা হলেও মনোনয়ন জমা পড়ে মাত্র ২টি। সমবায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি কোনও বিরোধী দল। তারপরও শাসকদল প্রার্থী দিতে পারেনি বলে অভিযোগ। ৬টি আসনের নির্বাচনে ১১ জন মনোনয়নপত্র তুললেও, শেষ দিন পর্যন্ত জমা পড়ল মাত্র ২টি।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
এই সমবায় সমিতি দুর্নীতির আগের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। দু’বছর জেলেও ছিলেন। অভিযোগ, এরপরও বহু আমানতকারী টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। বহুদিন পর সমবায়ে ভোট ঘোষণা হয়। কিন্তু সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ এবার। উপানন্দ ঘোষ নামে এক তৃণমূল কর্মীর নামে পড়েছে পোস্টার।
উপানন্দ ঘোষ দীর্ঘদিন এই সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত। যুব তৃণমূল সভাপতি গৌতম মল্লিক। তিনি বলেন, “সমবায় সমিতির আমি সদস্য। ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূলের বোর্ড এখানে। এলাকার লোকের বক্তব্য, ২০২২-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উপানন্দ ঘোষ ওই বোর্ডেই ছিল। ২০১৯ সালে আর্থিক গোলমালের সময়ও বোর্ডে ছিলেন উপানন্দ ঘোষ। আসলে এলাকার লোকজনের টাকার ব্যাপার। উপানন্দ ঘোষ বোর্ডে ছিলেন অথচ হিসাব দিতে পারেননি। এলাকার লোকজনের দাবি ছিল পুরনো বোর্ডের সদস্যরা যেন নতুন বোর্ডে না আসে। তাই হয়ত এসব হচ্ছে। এর বেশি আমি কিছুই জানি না।”
পাল্টা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মফু সরকারের কথায়, “তিন থেকে চার বছর সমবায় বন্ধ। গত বোর্ডে ম্যানেজার কিছু গোলমাল করেছিল। মামলা হয়, জেলও খাটে। টাকাও সমিতিতে জমা করেছে। এখনও কিছু টাকা বাকি। তবে গোষ্ঠীকোন্দল আসলে গৌতম মল্লিক লোকজন নিয়ে করছে। উপপ্রধানের বিরুদ্ধে পোস্টারও গৌতম মল্লিকই দিয়েছে।” আর উপানন্দ ঘোষের বক্তব্য, “চোরেরা একটু ভয় পেয়েছে। টাকা পয়সা নিয়ে সমবায়কে উচ্ছন্নে পাঠিয়েছে তারা একটু ভয় পেয়েছে আমি নমিনেশন জমা দেওয়ায়। ভাবছে আমি থাকলে তো ওদের টাকা ফেরাতে হবে।”