
খড়্গপুর: রাস্তায় ফেলে মারা হচ্ছে এক বৃদ্ধকে। টেনে ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে শার্ট। খড়্গপুরের সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই। জানা গিয়েছে, যাঁকে মারধর করা হচ্ছে, তিনি একজন বাম নেতা আর যাঁর নেতৃত্বে মারধর চলল, তিনি এলাকারই এক তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে। সোমবার সকালে এই দৃশ্যই দেখা গেল এলাকায়। কেন এভাবে অত্যাচার চালানো হল?
সূত্রের খবর, প্রবীণ বামপন্থী নেতা অনিল দাস পাঁচিল ভাঙার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন। সেইসময় তাঁকে এভাবে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার মাঝে জুতোপেটা করা হচ্ছে তাঁকে। এরপরেনিজেকে বাঁচাতে তিনি রঙ-এর দোকানে ঢুকে যাচ্ছেন। কিন্তু, সেখানেই নিস্তার মেলেনি। সেখানেও তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী রঙের ডাব্বা তাঁর গায়ে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে খড়্গপুর টাউন থানায় পৌঁছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ছুটে যান খড়্গপুর সদরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন চেয়ারপার্সন প্রদীপ সরকা।র তিনি জানিয়েছেন বেবি কোলে তাঁদের দলের লোক তবে বেবি কোলে এখন কী পদে আছেন, তা তিনি জানেন না। পুলিশকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। যদিও এই ঘটনার পরে বেবি কোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “রাস্তার উপর যেভাবে ফেলে পেটানো হচ্ছে, তা নিন্দনীয়। খড়্গপুরে অনিল দাসকে চেনেন না এমন লোক কম আছে। বামেদের পুরনো কর্মী। সবাইকে নিয়ে চলতে ভালবাসেন। তৃণমূলের রাজত্ব বলে কি তিনি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবে না! ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই।” এদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, “সবার উপর দলের নিয়ন্ত্রণ নেই। কেউ কেউ পদের নাম ভাঙিয়ে এই ধরনের কাজ করছে।”