Bengal Panchayat Election: মামা বিজেপি কর্মী, টিউশন থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
Bengal Panchayat Election: ছাত্রের দাবি, তাকে চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে যায় এক ব্যক্তি। তাকে বলা হয়, 'তোর মামাকে ডাক।'
ঘাটাল: ভোট মিটলেও অশান্তির আঁচ এখনও কমেনি। রাজনৈতিক হামলা বা সংঘর্ষের অভিযোগ সামনে আসছে বিভিন্ন জেলা থেকে। এবার এক একাদশ শ্রেনির ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় রাজনৈতিক শত্রুতার অভিযোগ উঠেছে। টিউশন থেকে টেনে এনে ওই কিশোরকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। কিশোরের দাবি তার মামা বিজেপির সদস্য। মারধরের সময় বারবার তাকে তার মামার কথা বলা হচ্ছিল বলেও দাবি করেছে ওই ছাত্র। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বাঁকা এলাকার ঘটনা। কিশোরের শিক্ষকও বর্ণনা করেছেন, কীভাবে ওই ছাত্রকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছে ওই কিশোর।
ওই বাঁকা এলাকার বাসিন্দা শিবনাথ ঘোষ একজন বিজেপি কর্মী। তিনি জানান, তাঁর ভাগ্নে বিপ্লব খাঁড়া বুধবার সকালে টিউশন পড়তে শিক্ষকের বাড়িতে যান। শিক্ষকের সামনেই তাঁর ভাগ্নেকে মারধর করা হয়। অনুপ পাল ও তোতন কারক নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ছাত্রের দাবি, তাকে চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে যায় এক ব্যক্তি। তাকে বলা হয়, ‘তোর মামাকে ডাক।’ শিবনাথ বাবুর দাবি, শুধুমাত্র তাঁর মামাকে মারধরই নয়, তাঁর বাড়িতেও ভাঙচুর করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
গৃহশিক্ষক পিন্টু হাতি ও ছাত্রের সহপাঠীরাও ঘটনার কথা জানিয়েছে। গৃহশিক্ষক বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে কেন এভাবে একজন ছাত্রকে মারধর করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা অনুপ পাল। তিনি বলেন, “আমি কেন মারতে যাব? ও আমার ভাগ্নের মতো। মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। সবাইকে মেরে দেব।”