
দাসপুর: সমবায় সমিতির নির্বাচনে জোট গড়ে তৃণমূলকে হারাল বিজেপি ও বামেরা। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ২ নম্বর ব্লকে চকসুলতান মেহনতী সমবায় সমিতির নির্বাচনে ৪১টি আসনের সবগুলিতে তাদের প্রার্থীরা জিতলেন। বিজেপি-বামেদের জোটের সঙ্গে লড়াইয়ে খাতাও খুলতে পারল না রাজ্যের শাসকদল। ভোটের ফল প্রকাশের পর কখনও জয় শ্রীরাম ধ্বনি শোনা গেল। আবার পরক্ষণেই শোনা গেল ইনক্লাব জিন্দাবাদ। বিজেপি-বামেদের জোটকে কটাক্ষ করল তৃণমূল।
দাসপুর ২ ব্লকের এই সমবায় সমিতি দীর্ঘদিন ধরে বামেদের দখলে রয়েছে। জুন মাসে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, ভোট না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। শেষপর্যন্ত আদালতের নির্দেশেই এদিন ভোটগ্রহণ হয়। ভোটের জন্য পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। ছিল পুলিশের কড়া পাহারা।
এই সমবায়ের ৪১টি আসনের মধ্যে ৩৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। আর শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল সমবায় বাঁচাও সমিতি গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে বিজেপি ও বামেরা। ভোটগ্রহণ শেষে ভোটগণনা শুরু হয়। ফল বেরতে দেখা যায়, ৪১টি আসনেই জিতেছে প্রগতিশীল সমবায় বাঁচাও সমিতি। ফল ঘোষণার পর উচ্ছ্বাসে মাতেন বিজেপি ও বাম কর্মীরা। লাল আবিরে পরস্পরকে রাঙিয়ে দেন। সেইসময় কখনও জয় শ্রীরাম ধ্বনি কখনও ইনক্লাব জিন্দাবাদ ধ্বনি শোনা যায়।
জয়ের পর উচ্ছ্বাস বাম সমর্থকদের
সমবায় সমিতির এই নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রশান্ত বেরা বলেন, “ভোট না করে সমবায় দখল করতে চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু, আদালতের নির্দেশে এদিন ভোট হয়।” সমবায় নির্বাচনে বাম-বিজেপির জোট নিয়ে কটাক্ষ করে স্থানীয় গোছাতি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অরবিন্দ হাজরা বলেন, “বামের কোলে বিজেপি। আর বিজেপির কোলে বাম দেখা যাচ্ছে। আর অন্য জায়গায় বলে বেড়ায়, আমরা আলাদা।” তিনি আরও বলেন, “আমরা ৪১ জন প্রার্থীই দিয়েছিলাম। ভয় দেখিয়ে ৭ জনের নাম প্রত্যাহার করিয়েছে সিপিএম।” বিজেপির সঙ্গে জোটের কথা অবশ্য অস্বীকার করলেন স্থানীয় সিপিএম নেতা রণজিৎ পাল। তিনি বলেন, “গতবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমরা জিতেছিলাম। এবার যে যার শক্তি মতো প্রার্থী দিয়েছে। কোনও জোট হয়নি।”