
পশ্চিম মেদিনীপুর: বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এবার সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রহস্যজনকভাবে যাঁর দেহ উদ্ধার হল, তাঁর মৃত্যু নিয়ে তদন্তই হচ্ছে না ঠিক মতো। এমনই দাবি করলেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানার ভাদুতলা এলাকায় এক বিজেপি কর্মী দেহ উদ্ধার হয় রহস্যজনকভাবে। আজ বুধবার সেই কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে গিয়ে তদন্ত নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, কোনও দেহ উদ্ধার হলে পুলিশ কুকুর নিয়ে যেভাবে তল্লাশি চালানো প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে না।
মৃতের নাম মিঠুন খামরুই। মঙ্গলবার শালবনী থানার পুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে শালবনীর ভাদুতলা থেকে কর্ণগড় যাওয়ার রাস্তায় একটি কালভার্টের নীচে পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই ব্যক্তির দেহ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ খুন করা হয়েছে তাদের দলের কর্মীকে।
জানা গিয়েছে, সোমবার একটি মেলা চলছিল এলাকায়। সেখানেই ছিলেন মিঠুন খামরুই। কিন্তু ওই দিন রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। মঙ্গলবার সকালে সেতুর নীচ থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হতেই বাড়ে রহস্য। মৃতের ছেলে সৌভিক খামরুই জানিয়েছেন, কারা খুন করেছে বোঝা যাচ্ছে না। বিজেপির দাবি, পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। বুধবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সকাল থেকে পুলিশের যা কাজ করা উচিত ছিল, তা করা হয়নি। পুলিশ এই মৃত্যুটাকে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে। এর পিছনে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা আছে, এটা পুলিশ সামনে আনতে চাইছে না। বিজেপি পরিবারের পাশে আছে।”