
পশ্চিম মেদিনীপুর: ঝুমি নদীর উপর দীর্ঘদিন ধরে থমকে রয়েছে সেতু নির্মাণের কাজ। একাধিক অভিযোগ পেয়ে বুধবার সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন জেলাশাসক আয়েসা রানি। শিলান্যাসের পর গত দুবছরে কিছুই কাজ এগোয়নি বলে ঠিকাদারি সংস্থাকে ধমকও দিলেন তিনি। আগামী এক বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে বলে সময়ও বেঁধে দেন এদিন।
দিনটা ছিল ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি। রাজ্যের তৎকালীন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে শিলান্যাস হয়েছিল মনশুকা সেতুর। শিলান্যাসের পর কাজ শুরু হলেও গত দুবছরে দফায় দফায় বন্ধ থেকেছে নির্মাণকাজ। ফলস্বরূপ সেতু নির্মাণের পিলারটুকুও ওঠেনি এখনও পর্যন্ত।
যদিও, বিষয়টি নিয়ে নানা অজুহাত দেখানো হয়েছে ঠিকাদারি সংস্থার তরফে। কখনও বন্যা কখনও ইমারতি দ্রব্যের সাপ্লাই সমস্যা আবার কখনও জোয়ারের জলের ভ্রুকুটির কথা তুলে ধরেছেন তাঁরা। কিন্তু এলাকাবাসীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, গত শীতে যখন অনুকূল পরিবেশ ছিল তখনও কেন সেতু নির্মাণ হয়নি। তাঁদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা নির্মাণ কাজ শুরুর আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কোনও প্রভাব দেখা যায়নি।
গত দু’বছরে নদীগর্ভে কেবল মাত্র কয়েকটি পিলার নির্মাণের আংশিক কাজ দেখা গিয়েছে। দিনের পর দিন সেতু নির্মাণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষের। সূত্র মারফত সেই ক্ষোভের কথা জানতে পারেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক আয়েসা রানি এ। মঙ্গলবার তিনি মনশুকা ব্রিজ নির্মাণ স্থান পরিদর্শনে যান। ডেকে পাঠান ঠিকাদার সংস্থাকে। ঠিকাদার সংস্থাকে ধমকের পাশাপাশি আগামী এক বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার সময় বেঁধে দেন জেলাশাসক। ফলত, আগমী দিনে নির্মাণ কাজ কতটা গতিতে হয় সেদিকেই তাকিয়ে মনশুকাবাসী।
এই বিষয়ে জেলাশাসক বলেন, ‘মনশুকা ব্রিজের কাজ অনেক ধীর গতিতে হচ্ছে। নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত কাজ শুরু করার। যা যা সমস্যা রয়েছে তার সমাধান করে দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে।’
উল্লেখ্য, মনশুকা ব্রিজের জন্য বরাদ্দ ব্যয় ১৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। সেতুটির চওড়া হবে প্রায় ৮ মিটার। লম্বায় হবে ১২৮ মিটার। যদিও ঠিকা সংস্থার কর্মী অসিত দত্তের দাবি, নদীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে মালপত্র নিয়ে যাওয়ার সমস্যার কারণে কাজ হচ্ছে ধীরগতিতে। ডিএম বলেছেন, যত দ্রুত কাজ শুরু করতে।