পশ্চিম মেদিনীপুর: মা ঘুমিয়ে ছিলেন, ছ’বছরের ছেলেও ঘুমোচ্ছিল পাশেই। কিন্তু মা উঠে দেখেন পাশে ছেলে নেই। দীর্ঘক্ষণ খোঁজের পর বাড়ির পাশেই পুকুর থেকে উদ্ধার হল ছেলের দেহ। পুকুর থেকে শিশু উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের চাঁইপাট এলাকায়। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
জানা যাচ্ছেন, পেশায় স্বর্ণ কারিগর রতন শিকদার আদতে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর বাসিন্দা। স্ত্রী রাখি ও দুই সন্তানকে নিয়ে পৈত্রিক বাড়ি থেকে দাসপুরের চাঁইপাটে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। পেশাগত কারণে ভিন দেশে থাকেন রতন। ছোট ছেলে রাজের বয়স বছর ছয়েক। রাজ বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন। হাঁটাচলা করতে পারত না সে। বৃহস্পতি দুপুরে রাজের মৃতদেহই উদ্ধার হয় বাড়ি লাগোয়া পুকুর থেকে।
মায়ের বয়ান অনুযায়ী, বিকালে ছেলেকে নিয়েই শুয়ে ছিলেন তিনি। মায়ের কথায়, “ছোট ছেলেকে আমি দুধ বিস্কুট খাওয়াই। তারপর ছোট ছেলেকে নিয়ে শুয়েছিলাম। পাশে বড় ছেলেও ছিল। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আমি, বড়টাও ঘুমিয়ে পড়ে। তারপর চোখ খুলে দেখি ছোট ছেলেটা নেই। তারপর নীচে এসে খোঁজাখুজি করি। ওর হাঁটাচলায় সমস্যা ছিল।”
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দাসপুর থানার পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ছোট ছেলেটার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে সন্ধিহান এলাকাবাসীরাও। মায়ের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।