Medinipur: বন্ধুদের সঙ্গে চা খেতে গিয়ে মদ্যপদের হাতে আক্রান্ত, মৃত্যু সেই সিভিক ভলান্টিয়রের

Medinipur: গত ১৫ ডিসেম্বর, সোমবার গভীর রাতে (ঘড়ির কাঁটার হিসেবে অবশ্য ১৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার রাত্রি ১২টা নাগাদ) উদয় তাঁর দুই বন্ধু প্রকাশ ও দেবেন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে খড়গপুর স্টেশন সংলগ্ন মাল গোডাউন এলাকায় একটি দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন। দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে চা খাওয়ার সময় এক মদ্যপ যুবক তাঁদের নানাভাবে বিরক্ত করার চেষ্টা করে।

Medinipur: বন্ধুদের সঙ্গে চা খেতে গিয়ে মদ্যপদের হাতে আক্রান্ত, মৃত্যু সেই সিভিক ভলান্টিয়রের
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 28, 2025 | 5:59 PM

মেদিনীপুর:  চা খেতে গিয়ে মদ্যপদের হামলায় জখম হয়েছিলেন, মৃত্যু হল সিভিক ভলেন্টিয়রের, খড়্গপুরের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সহ ২। শীতের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে চা খেতে গিয়ে মদ্যপদের হামলার শিকার হয়েছিলেন। কটকের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের আইবি শাখায় কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার তুলসি রাও (উদয়)-এর। শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বছর তিরিশের এই সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

জানা গিয়েছে,  গত ১৫ ডিসেম্বর, সোমবার গভীর রাতে (ঘড়ির কাঁটার হিসেবে অবশ্য ১৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার রাত্রি ১২টা নাগাদ) উদয় তাঁর দুই বন্ধু প্রকাশ ও দেবেন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে খড়গপুর স্টেশন সংলগ্ন মাল গোডাউন এলাকায় একটি দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন। দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে চা খাওয়ার সময় এক মদ্যপ যুবক তাঁদের নানাভাবে বিরক্ত করার চেষ্টা করে। তাঁরা ওই যুবককে সরে যেতে বলেন। কিন্তু, ওই মদ্যপ যুবক না সরায় শেষমেশ তাঁকে ঠেলে সরিয়ে দেন উদয় ওরফে তুলসি।

এরপরই আরও কিছু মদ্যপ যুবক জড়ো হয়ে তুলসিদের উপর চড়াও হয়। তাঁদের মধ্যেই কেউ বোতল দিয়ে তুলসির মাথায় সজোরে আঘাত করলে, গুরুতর চোট পান তুলসি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তুলসির মাথায় কুড়িটিরও বেশি সেলাই পড়ে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খড়্গপুর থেকে কটকে নিয়ে যাওয়া হয়।

শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর সকালে কটকের ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তুলসির। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক আধিকারিক।