ডেবরা: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মিড ডে মিল (Mid Day Meal) পরিদর্শনে মঙ্গলবার পৌঁছেছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল (Delhi Team)। আর সেদিনই ঘটেছে একের পর এক ঘটনা। কোথাও এদিনই খাবারে মিলল আরাশোলা সিদ্ধ, আবার কোথাও স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের রানিসরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের একতাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় এক মাস যাবৎ মিড ডে মিলের কোনও রান্না হয়নি, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা। এর জেরে শিকেয় উঠেছে পঠন পাঠন। স্কুলের বারান্দাতে বসে চলছে পঠন পাঠন। প্রতিদিনের মতো এদিনও স্কুলে এসেছিলেন পড়ুয়া এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা। আর তাঁরা পৌঁছে দেখেন স্কুলের গেটে তালা লাগানো। বিদ্যালয়ের তালার ওপরে আরও একটি তালা ঝোলানো হয়েছে। কে বা কারা এই তালা লাগিয়েছেন, তা জানেন না শিক্ষকরা। অন্তত এমনটাই দাবি তাঁদের।
স্কুলের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে শিক্ষক শিক্ষিকারা। খোঁজ খবর নেওয়ার পরে যখন কেউ তালা খুলতে না আসে অবশেষে বারান্দায় বসে পঠন পাঠন চালানোর সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। পঠন পাঠন চললেও মিড ডে মিলের কোনও ব্যবস্থা নেই। মিড ডে মিলের সরঞ্জাম রাখার ঘরেও ঝুলছে তালা।
রান্না করার সহ-সহায়ক দলের মহিলারাও নিরুপায়। আরও অভিযোগ ওঠে, সরস্বতী পুজোর চাঁদা নিয়ে পুজোও করা হয়নি। আর সেই কারণে স্কুলে তালা বন্ধ করেছেন গ্রাম বাসীরা। গ্রামবাসী পিনাকী দত্ত জানান,ডিসেম্বরে প্রায় এক মাস ধরে বিদ্যালয়ে কোনও মিড ডে মিল রান্না হয়নি। রান্না না হলেও রান্না হয়ে যাওয়ার মেসেজ পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সরস্বতী পূজোর চাঁদা নিয়েও কোন পূজো করা হয়নি এবং মিড ডে মিলের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হত বলে অভিযোগ। শিক্ষিকা কেকানন্দ গোস্বামী অধিকারি বলেন, “কে বা কারা তালা লাগিয়েছেন তা আমরা জানি না। তালা লাগানোর কী কারণ সেটাও জানি না। যদি কারোর কোনও সমস্যা থেকে থাকে আমাদের সঙ্গে এসে সরাসরি কথা বলুন।” মিড ডে মিল নিয়ে ওঠা অভিযোগ এড়িয়ে যান শিক্ষিকা। স্কুল বন্ধ হওয়া নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে তিনি জানান।