AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dilip Ghosh: ‘গরিব বাচ্চাদের খাবার লুঠ হচ্ছে, দুর্নীতির পরিমাণ ১০০ কোটিও ছাড়াবে’, মিড ডে মিলে দুর্নীতি নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের

Dilip Ghosh: বাংলার স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে কেন্দ্রের পাঠানো জয়েন্ট রিভিউ মিশন। সেখানে রাজ্যের প্রতিনিধিও ছিলেন।

Dilip Ghosh: 'গরিব বাচ্চাদের খাবার লুঠ হচ্ছে, দুর্নীতির পরিমাণ ১০০ কোটিও ছাড়াবে', মিড ডে মিলে দুর্নীতি নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের
দিলীপ ঘোষ (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Apr 13, 2023 | 11:27 AM
Share

খড়্গপুর: মিড ডে মিলে ১০০ কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’! বাংলার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা। কিন্তু কেবল ১০০ কোটি নয়, এই দুর্নীতির মাত্রা বাড়বে আরও, বলছেন বিরোধীরাই। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সরকার মিড ডে মিলের কোন ডাটা মেনটেইন করেনি । পাশের রাজ্য অসমে দেখুন প্রত্যেকটি স্কুলের লিস্ট আছে, তাঁদের কাছে সমস্ত কিছু হিসাব রয়েছে । কিন্তু পশ্চিম বাংলাতে কোন হিসাব নেই কোন ডাটা নেই। সবে ১০০ কোটি তো পাওয়া গেছে, আরও অনেক খবর হবে।” দুর্নীতির তালিকায় এবার নবতম সংযোজন মিড ডে মিল। বাংলার স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে কেন্দ্রের পাঠানো জয়েন্ট রিভিউ মিশন। সেখানে রাজ্যের প্রতিনিধিও ছিলেন। সম্প্রতি সেই জয়েন্ট রিভিউ মিশনের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সেই রিপোর্টে রাজ্যে মিড ডে মিলের কাজে বেনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৬ কোটি অতিরিক্ত মিড ডে মিল পরিবেশনের রিপোর্ট করেছে পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট খাবারের মূল্য ১০০ কোটি টাকারও বেশি। আর এই নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

মেদিনীপুরে চা চক্রে যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “স্কুল নেই, স্কুল আছে তো বাচ্চা নেই, সেখানে মিড ডে মিলের খরচ যাচ্ছে। কতজন স্টুডেন্ট রয়েছেন, তার কোনও হিসাব নেই। সব জায়গাতেই দুর্নীতি। সেটা তদন্ত করে যার রিপোর্ট এসেছে জানা গিয়েছে।”

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় টিমের তদন্তের নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেন, মিড ডে মিলের সার্বিক চিত্র খতিয়ে দেখতে যে টিম এসেছিল, তাদের রাজ্য সবরকমভাবে সাহায্য করেছে। তাঁর বক্তব্য, “যেহেতু এটির নাম জয়েন্ট রিভিউ মিশন, তাই প্রথম থেকেই কথা হয়ে ছিল, আমাদের প্রকল্প অধিকর্তা সেই রিপোর্ট দেখবেন এবং সই করবেন। কিন্তু সই নেওয়া তো দূরের কথা, আমাদের না জানিয়েই সেটি জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা এতে অবাক হই।” এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে শিক্ষামন্ত্রীকেই বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, আমাদের জিজ্ঞাসা করেনি কেন, আমি বলি,যে চোর তাঁকে কী জিজ্ঞাসা করবে? যে চুরি করছে জেনে বুঝে তাকে জিজ্ঞাসা করবে নাকি? তাহলে রিপোর্টটা কী হবে? যেটা ওঁরা বাস্তব দেখেছেন সেটাই দিয়েছেন।”

দিলীপের বক্তব্য, মিড ডে মিলটা যেন একটা লুটের জায়গা হয়ে গিয়েছে। সবদিক দিয়ে বদনাম হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের গরিব বাচ্চাদের খাবার লুঠ করা হচ্ছে ।