
পশ্চিম মেদিনীপুর: খড়্গপুরে প্রবীণ বাম নেতা অনিল দাসকে মারধরের ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে। পুলিশের তরফে দু-একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, এখনও কেন গ্রেফতার নয়, সে নিয়ে নানা মহলে উঠছে প্রশ্ন। এরই মধ্যে বুধবার সাত সকালে খড়্গপুরে অনিল দাসের বাড়িতে দেখা করতে গেলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। কথা বললেন অনিল দাস ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের মুখে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাক, কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। যে অপরাধ করেছে, সে থানায় গিয়ে চা খেয়ে আসছে। এফআইআর করার আগেই তৃণমূল নেতা প্রদীপ সরকার পৌঁছে যাচ্ছে। কী এফআইআর হবে, সে লিখে দিচ্ছে। পুলিশ চারদিন ঘোরায়। এফআইআর নেয় না। এটাই তো পুলিশের চরিত্র।” প্রতিবাদ করলেই আক্রান্ত হতে হচ্ছে বলে দাবি দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, “এই ঘটনা পুরো প্ল্যান করে করা। তাঁকে অপমান করার সুযোগ করা হচ্ছিল। কারণ এখানকার অনেকের বাড়িঘর দখল করেছে ওই মহিলারা। আমাদের সঙ্গে ভিক্টিমরা দাঁড়িয়ে। আসলে তখন ভীমদা (আক্রান্ত নেতা অনীল) প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই তাঁকে অপমান করার সুযোগ খোঁজা হচ্ছিল। পুলিশকেও আগে থেকে সেটিং করে রাখা ছিল। যারা মারল, তারাও গিয়ে থানায় বসে থাকল, কারণ পাবলিক যাতে তাদের পাল্টা পেটাতে না পারে, সবটাই প্ল্যান করে করা হয়েছিল।”
আক্রান্ত নেতা অনিলের বক্তব্য, “আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, পুলিশ তাদেরকে নিয়ে এসে, আবার মারুতি করে ছেড়ে দিয়ে যাচ্ছে। আমি ছোটবেলা থেকে রাজনীতি করেছি। ছাত্র আন্দোলন করেছি। সোশ্যাল সেক্রেটারি ছিলাম। আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উত্থানপতন দেখেছি। কিন্তু প্রশাসনের ভূমিকা এখন খারাপ, আমি জীবনে প্রথম দেখলাম। ”