পশ্চিম মেদিনীপুর: তাঁর সফরের আগেই ঘাটাল জুড়ে পোস্টার ফেলেছিল বিজেপি। প্রথমে ঘাটালের দাঁড়িয়ে বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আক্রমণ, আর ঠিক তার পরেই বিজেপির পোস্টার, তাতে লেখা, হিরণের খোঁচার নাকি মালদ্বীপ থেকে ঘাটাল আসছেন সাংসদ দেব। ঘাটালে পা রেখে স্বাভাবিকভাবেই সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি। দেব বলেন, “আমি রাজনীতি পারি না। যেটা হিরণ পারে, বা অন্য দলের কেউ পারে, সেটা আমি পারি না। আমি ওরকমভাবে রাজনীতিটা করতে পারি না। হয়তো আমি ওরকমভাবে স্লোগান দিতে পারি না, কাউকে দোষ দিতে পারি না। এটা করে তো রাজনীতি হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমার কাছে রাজনীতি এখনও পরিষ্কার। মানুষকে ভাল রাখা, শান্তিতে রাখা। আমি এমন দুটো গরম গরম কথা বলে দিলাম, যাতে দুটো দলের কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হল। সেটা চাই না। হিরণ আমার খুব ভাল বন্ধু। এটা কিছুই হয়নি।”
প্রসঙ্গত, দেবের সফরের আগেই ঘাটালের একটি ক্লাব সংগঠনের কালীপুজোর অনুষ্ঠানে গিয়ে দীপক অধিকারী প্রসঙ্গে নাম না করে একের পর এক তোপ দাগেন বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “উনি মলদ্বীপের জলে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে শুয়ে থাকবেন আর বন্যার জলে সুইমিং করবে ঘাটালের মানুষ।” “সাংসদ হিসাবে মাইনে নেব, সাংসদ হিসাবে ঘাটালে যা কাজ হবে, তার কাটমানিও নেব, গরু চোর এনামূল হকের কাছে কাটমানি নেব।” এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় দেবকে। তিনি অত্যন্ত শান্ত গলায় বলেন, “আমি আমার কর্মীদেরও বলব প্লিজ, এটা মনে করুন, একটা বন্ধু আরেকটা বন্ধুকে প্রশ্ন করেছে। উত্তর দিচ্ছি। প্রশ্ন করেছে, এনামুলের টাকা দিয়ে ছবি করেছি। আমি বলছি, আমি এনামূলকে চিনিই না। আর আমার যদি টাকা নেওয়ার থাকত, আমাকে যেদিনই ডেকেছিল, সেদিনই গিয়েছি। অন্য ডেট চাইনি। আমার যদি ভয় থাকত, তাহলে তো অন্য ডেট চাইতেই পারতাম।”
গরু পাচারের টাকায় সিনেমা প্রসঙ্গে দেবের উত্তর, ” আমার মনে হয়, এবার সিবিআই-এর হিরণকে ডাকা উচিত। কারণ ও আমার ব্যাপারে একটু বেশিই জানে। ও হয়তো বেশি বলবে, সিবিআই ওতটা জানে না।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ঘাটালে সাংসদ দেব বৈঠক করেন। কলেজ-সাব ডিভিশন্যাল হাসপাতাল নিয়ে আলোচনা করেন।তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই উত্তর দেন তিনি।