Dipak Adhikari: জলঘোলা ছিলই, তার মাঝেই দেবের শুরু হল ঘাটালে দেওয়াল লিখন

Dipak Adhikari: কিছুদিন আগেই সাংসদ দেবকে নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা তৈরি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সংসদে নিজের আসনের ছবি পোস্ট করে দেব লিখেছিলেন 'আর কিছুক্ষণ'। তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা তৈরি হয়। 

Dipak Adhikari:  জলঘোলা ছিলই, তার মাঝেই দেবের শুরু হল ঘাটালে দেওয়াল লিখন
দেবের নামে শুরু হয়ে গেল দেওয়াল লিখনImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 24, 2024 | 11:07 AM

ঘাটাল:  দেবের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বিস্তর জলঘোলা তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যেই  তৃণমূল কংগ্রেস দলীয়ভাবে এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি, তবুও ঘাটালে দীপক অধিকারীর নামে দেওয়াল লেখা শুরু করল তৃণমূল কর্মীরা । পিংলার পর এবার ঘাটালের খড়ার পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে দেবের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে তাঁকে ‘আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কোমর বেঁধে এগিয়ে গেছেন খড়ার শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।

তবে এই বিষয়ে খড়ার শহর তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরূপ রায় বলেন,
“দেব প্রার্থী হচ্ছেন দলীয় ভাবে না ঘোষণা হলেও, প্রার্থী হচ্ছেন দেব, এই ভেবে অতি উৎসাহে আমাদের ছেলেরা ময়দানে নেমে পড়েছে। তবে আমি দেওয়াল ঘিরতে বলেছিলাম. ওরা যে লেখা শুরু করে দেবে দেবের নামে, এটা জানি না।”

তবে এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। খড়ারের বিজেপি নেতা সৌমেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরাও দেওয়াল লিখন শুরু করেছি, তবে ওদের মতো উৎশৃঙ্খলভাবে নয়, এখন খড়ারে তৃণমূলের তিনটি গোষ্ঠী। কোন গোষ্ঠী দেবের নাম লিখে দেবের কাছাকাছি পৌঁছতে পারবে, সেই নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। কারণ যে গোষ্ঠী দেবের কাছে পৌঁছতে পারবে, সেই গোষ্ঠী পার্সেন্টেজ বেশি পাবে।”

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সাংসদ দেবকে নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা তৈরি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সংসদে নিজের আসনের ছবি পোস্ট করে দেব লিখেছিলেন ‘আর কিছুক্ষণ’। তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা তৈরি হয়।  বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রণীল ঘোষ দাবি করেছিলেন, দেব হয়ত বিজেপি শাসিত রাজ্যের কোনও এক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে থাকতে পারেন দিল্লিতে। এরই মধ্যে আবার দেব ইস্যুতে মুখ খুলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান এবং বীর সিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন সাংসদ। সেই তিনটি সরকারি পদ থেকে পদত্যাগও করে দেন তিনি। এরপর সংসদের শেষদিনে দেব একটি পোস্ট করেন। একটাই শব্দবন্ধ , ‘বিদায়, থ্যাঙ্কু দিদি।’  তাতে জল্পনা বেড়ে যায় বহুগুণ। এরপর কলকাতায় ফিরে প্রথমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন দেব। তারপর তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘আমি রাজনীতি ছাড়লেও, রাজনীতি আমাকে ছাড়বে না।’  জল্পনায় পড়ে পূর্ণচ্ছেদ! এরপর আরামবাগের সভায় মুখ্য়মন্ত্রীর পাশেই দেখা যায় দেবকে। আর এসবের কয়েকদিনের ব্যবধানেই ঘাটালে দেবের সমর্থনে শুরু দেওয়াল লিখনও! যদিও তাতে অস্বস্তিতে তৃণমূল।