Lakshmir Bhandar: জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি কম কেন? ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধের নিদান জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যানের

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 10, 2022 | 7:29 PM

Lakshmir Bhandar: ‘আমি দুধ খাব কিন্তু গরু আমি পালব না! এটা হয়?’ বিতর্কিত মন্তব্য জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যানের।

Lakshmir Bhandar: জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি কম কেন? ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধের নিদান জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যানের

Follow Us

ঘাটাল: তৃণমূলের (Trinamool Congress) জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি কম কেন? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar) প্রকল্প বন্ধের নিদান রাজ্যের ঘাটাল (Ghatal) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যানের। তাঁর এই নির্দেশকে ঘিরে শোরগোল জেলার রাজনৈতিক মহলে। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের কৃষাণ খেতমজুর সংগঠনের উদ্যোগে দাসপুরের সবুজ সংঘের মাঠে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। সেই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, মন্ত্রী শ্রীকান্ত মহাতো সহ জেলার একাধিক নেতাকর্মীরা। আর সেই সভাতেই ঘাটাল সংগঠনিক জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান অমল পণ্ডারকে মহিলাদের উপস্থিতি কম থাকায় এমন বক্তব্য করতে দেখা গেল। যা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতর। 

এদিনের সভা থেকে অমল পণ্ডার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন তা কিন্তু আমরা ভুলে গিয়েছি। আবার অনেকেই অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম কেন বলা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম তো তখন বলব আগে তাঁর কর্মসূচিটা সেটা কার্যকরী করুন। আজ একটা মিটিং হচ্ছে। এদিকে ছেলে-মেয়েদের সংখ্যা প্রায় সমান সমান। মায়েদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প আছে। কিন্তু মিটিংয়ে মেয়েদের সংখ্যা এত কম কেন? আমি পূর্ণেন্দুদাকে বলব আপনি দিদির সঙ্গে কথা বলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। মেয়েদের সংখ্যা তো বেশি থাকতে হবে। মায়েদের তো আসতে হবে। আমাদের গ্রামে তো মহিলা খেতমজুরের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। তাহলে তাঁদের সংখ্যা এত কম হবে কেন? আমি দুধ খাব কিন্তু গরু আমি পালব না! এটা হয়?” 

তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তন্ময় দাসের দাবি, “তৃণমূলের সংস্কৃতি হল মহিলাদের অপমান করা। এ থেকেই প্রমাণ হয় মহিলাদের ৫০০ টাকা করে দিয়ে ভোট কিনতে চেয়েছিল। ভিক্ষা হিসাবে ওই টাকা দিয়েছিল তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুর মহিলারা এই কুমন্তব্যের জবাব দেবে।”

Next Article