মেদিনীপুর: টানা বৃষ্টিতে আবারও হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল মাটির বাড়ি। অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচল পরিবারের সদস্যদের। কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির কারণেই চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের শ্যামগঞ্জ গ্রামে তিনতলা একটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে সোমবার রাতে। ঘরহারা পরিবার এখন পাড়ার লোকের দোরে ঘুরছে। কোথায় থাকবে, কী খাবে, কী পরবে ভেবে কূল পাচ্ছে না। এই দৃশ্যে আতঙ্কে গ্রামের অন্যান্য ঘরগুলিও। ভয় পাচ্ছে, পাছে তাদের ঘরও ভেঙে পড়ে।
বাড়ির বাসিন্দা নূর মহম্মদ আলি বলেন, বিকাল থেকেই ঝরঝর করে মাটি পড়ছিল। সকলকে সতর্ক থাকার কথাও বলেন। বাড়ির কর্তার কথায়, “আমি ওদের বলিও, রাতেই না বাড়িটা ভেঙে পড়ে। রাতে আমি তক্তপোষে বসে। তখনই ভেঙে পড়ল। কোনও মতে সকলে বেরিয়ে বাঁচে। জিনিসপত্র কিছু বাইরে বের করে আনতে পারিনি। দৌড়ে সরে গিয়েছি। চোখের সামনে দেখলাম হুড়মুড়িয়ে সব ভেঙে পড়ল। এখন অন্যের বাড়িতে থাকছি। আমার পরিবারে প্রায় ১৫ জন সদস্য। বাচ্চাও আছে। সকলে মিলে এখন পথে।”
এলাকার এক বাসিন্দা শেখ মফিজুল আলি বলেন, এ গ্রামে এরকম আরও অনেক মাটির বাড়ি রয়েছে। প্রশাসন যেন গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখে। মফিজুলের কথায়, “রাতে আমরা চায়ের দোকানে বসেছিলাম। হঠাৎই খুব জোরে আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসি। দেখি ঘরটা পড়ে গিয়েছে। কেউ আবাসের ঘর পায়নি। সরকারের কাছে আবেদন ঘরগুলো দেখুক।” ঘর ভেঙেছে, কপাল পুড়েছে বাড়ির লোকজনের। বাচ্চা নিয়ে এ দোর ও দোর ঘুরে বেড়াচ্ছেন সকাল থেকে। বাড়ির সদস্য রসিদা বিবি কান্নায় ভেঙে পড়েছেন, “রাত ৯টা সাড়ে ৯টায় ভেঙে পড়ল বাড়ি। লোকের দুয়ারে ঘুরে ঘুরে কতদিন থাকব আমরা? খাওয়া দাওয়া নেই। কোথায় যাব আমরা? ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে।”