খড়্গপুর: জীবিত যুবককে মৃত বলে ঘোষণার অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণার পর নড়ে ওঠেন যুবক। বমিও করেন। পরিবারের দাবি মেনে ফের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবককে। তবে আধ ঘণ্টা পর ফের তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রবিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় মেদিনীপুরে মেডিক্যাল কলেজে।
মৃত যুবকের নাম ভি শাহী(১৮)। খড়্গপুরের দেবলপুরের বাসিন্দা বছর আঠারোর ওই যুবক রবিবার নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন। সেইসময় নদীর জলে ডুবে যান তিনি। অভিযোগ, তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি আশপাশের কেউ। তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশের সহযোগিতায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরিবারের অভিযোগ, বিনা চিকিৎসায় বেশ কিছুক্ষণ ফেলে রাখা হয় ওই যুবককে। তারপর চিকিৎসক এসে পরীক্ষা করে যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিজনদের বক্তব্য, বয়স কম হওয়ায় মৃত যুবকের ময়নাতদন্ত না করে দেহ নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশ তাঁদের বলে, ময়নাতদন্ত করতে হবে। এমন সময় একজন দেখেন, মৃত যুবকের হৃদস্পন্দন চলছে। তাঁদের দাবি, নাড়াচাড়া করতে নড়ে ওঠেন মৃত যুবক। বমিও করেন। এরপরই হাসপাতালে শোরগোল পড়ে যায়। মৃত যুবকের পরিজনরা হট্টগোল শুরু করেন। উত্তেজনা ছড়ায়। মৃত যুবককে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। আধ ঘণ্টা পর ফের ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকদের গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানায় তারা। এই নিয়ে জেলাশাসক ও মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা চিঠি লিখবেন বলেও জানালেন পরিজনরা।