দাসপুর : চাকরি হবেই। এমনই আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়েছিলেন আলপনা দেবী। স্বামী নেই, একমাত্র ছেলেকে নিয়ে সংসার খুব একটা স্বচ্ছল নয়। তাই চাকরিটা খুব জরুরির ছিল তাঁর জন্য। ভাল ব্যবহারেই বিশ্বাসও করেছিলেন এক যুবককে। ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করে চাকরি দেওয়ার কথা আলপনা দেবীকে বলেছিলেন সেই যুবক। বিশ্বাস করে একে একে নগদ টাকা, গয়না সবই দিয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু পরিণতি যে এমন হবে, তা ভাবতেও পারেননি তিনি। নিজের শেষ সম্বল জমিটাও বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি।
অভিযোগকারীর নাম আলপনা সেনাপতি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার ঘনশ্যামবাটি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। সুবিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। বছর দুয়েক আগেই স্বামীকে হারিয়েছেন আলপনা দেবী। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে দারিদ্র্যের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন। অভিযোগ, দাসপুরের ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দার সুরজিৎ মাইতির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। পরিচয় গোপন করে তিনি নাকি নিজেকে রাজু সেনাপতি বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। মহিলাকে দিদি পাতিয়ে আই সি ডি এস সেন্টারে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
সুরজিৎ মাইতির কথায় প্রভাবিত হয়ে শেষ সম্বল ৬ কাঠা জমিও বিক্রি করেন মহিলা। অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, জমি বিক্রি করে ১২ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। সেই টাকাও তুলে দেন ওই যুবকের হাতে। তারপর একে একে সোনার গয়না তুলে দেন সুরজিত মাইতির হাতে। দুটি নোয়া, পাঁচ জোড়া কানের দুল, আংটি, হার সবই দিয়ে দেন ওই যুবককে।
অভিযোগ, টাকা পয়সা সব হাতিয়ে নেওয়ার পর যোগাযোগ বন্ধ করে দেন সুরজিৎ। অবশেষে মহিলা বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুরজিৎ মাইতির নামে। অভিযোগ পেয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দিখছে দাসপুর থানার পুলিশ।