
ঘাটাল: ব্যাঙ্কে পাসবই আপডেট করাতেই গৃহবধূর মাথায় হাত! অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হাজার হাজার টাকা। অভিযোগ, টাকা জালিয়াতি করেছে এলাকারই এক যুবক। আধার নম্বর দিয়ে নথি যাচাইয়ের নামে মোবাইলে অ্যাপ ইন্সটল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওই মহিলার। যুবক পুলিশের হাতে তুলে দিল এলাকাবাসী।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে শুকচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা মিনা জানার অভিযোগ, কিছুদিন আগে ঘাটালে পিএম কিষান যোজনা করতে গিয়ে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তারপর আধার নম্বর দিয়ে নথি যাচাই নিয়ে যুবকের সঙ্গে কথাও হয়। এরপর ওই যুবক অপর একজনকে সঙ্গে নিয়ে মহিলার বাড়িতে যায় এবং ফোনে ওটিপি যাওয়ার কথা বলে।
ওই গৃহবধূ ওই যুবককে তাঁর ফোনটা দিয়ে দেন। আর সেই সুযোগেই ফোনে বিশেষ অ্যাপ ইন্সটল করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলার দাবি, অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে নেয় ওই অভিযুক্তরা।
অভিযুক্ত ঘাটালের সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা উৎপল রায়। একদিনে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পরের দিন আবার গিয়ে ওই গৃহবধূ মিনা জানার অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ হাজার টাকা এবং তাঁর জা টিঙ্কু জানার থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। গৃহবধূ ব্যাঙ্কের পাসবুক আপডেট করতে গিয়ে পুরো বিষয়টি জানতে পারে।
এরপর ওই যুবককে জিজ্ঞাসা করা হলে যুবক টাকা ফেরত দিয়ে দেবে বললেও ফেরৎ দেয়নি বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে ঘাটাল থানায় অভিযোগও দায়ের করেন মিনা জানা। আজ ওই যুবককে ঘাটালে দেখতে পেয়ে মিনা জানার পরিবারের লোকজন ওই যুবককে পাকড়াও করে নিয়ে যান শুকচন্দ্রপুর গ্রামে।
যুবকের মোবাইলে দেখা গিয়েছে প্রচুর এই ধরনের টাকার ট্রানজাকশন হয়েছে। যুবকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান যে, তিনি যে কাজ করেন সেই কাজের জন্য সবাই টাকা পাঠিয়েছেন। খবর যায় ঘাটাল থানায়। ঘাটাল থানার পুলিশ ওই যুবককে আটক করে নিয়ে যায় থানায়। এই ঘটনায় জড়িত আর এক যুবক সঞ্জিত কুমার টুডুর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।