মেদিনীপুর: বাধ্যতামূলক চার্জ ২৩৬ টাকা। তার সঙ্গে সুরক্ষা পাইপ ১৯০ টাকা। মোট ৪২৬ টাকা দিলে তবেই হবে আধার লিঙ্ক। গ্যাসের গ্রাহকদের আধার লিঙ্ক করতে গিয়ে দিতে হচ্ছে টাকা। টাকা না দিলে লিঙ্ক করা হবে না সাফ জানাচ্ছেন গ্যাস এজেন্সির কর্মীরা। অভিযোগ তুলছেন গ্রাহকেরা। কোথাও বা গ্যাস পাইপের দরুন ১৯০ টাকা চার্জ নেওয়া হলেও, লিঙ্ক না থাকার কারণে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে হয়রানির স্বীকার গ্রাহকেরা।
এমনিতেই আধার লিঙ্ক করতে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়েও সম্ভব হচ্ছে না আধার লিঙ্ক করা, তার ওপর অতিরিক্ত বোঝা নানান অছিলায় টাকা নেওয়ার হচ্ছে গ্রাহকদের কাছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই পৌরসভার পাশেই রয়েছে ইন্ডেন গ্যাস সার্ভিসের অফিস। এই গ্যাস সার্ভিসের গ্রাহকদের অভিযোগ, টাকা নিয়ে তবেই করা হচ্ছে আধার লিঙ্ক। সুরক্ষা পাইপ নিতে হবে বাধ্যতামূলক ১৯০ টাকা। তার সঙ্গে বাধ্যতামূলক চার্জ ২৩৬ টাকা। এক গ্রাহকের কথায়, “কয়েক মাস আগেই সুরক্ষা পাইপ কিনেছি। এখন আর এই পাইপ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কী করব।” কিন্তু তাঁদেরকেও ১৯০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে সুরক্ষা পাইপ। না হলে আধার লিঙ্ক করা হবে না।
আবার বাধ্যতামূলক চার্জ ২৩৬ টাকা কিসের জন্য? সেই বিষয়ে গ্যাস সার্ভিসের মালিক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “বাড়ি বাড়ি তাদের কর্মীরা যে সার্ভিস দেন তার জন্য এই টাকা।” কিন্তু আরেক গ্রাহক বলেন, “আমাদের বাড়িতে তো এর মধ্যে কোনও কর্মীই আসেননি। তাহলে এই টাকা কেন দেব?”
ক্ষীরপাই ইন্ডেন গ্যাস সার্ভিস এর মালিক বাপ্পাদিত্য ধাড়া অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অপরদিকে সকাল থেকে চন্দ্রকোনা গ্যাস অফিসে লিঙ্ক না থাকার কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। যদিও এখানে গ্রাহকদের দাবি, বাধ্যতামূলক গ্যাস পাইপের জন্য দিতে হচ্ছে ১৯০ টাকা। এইভাবে গ্রাহকদের কাছে আধার লিঙ্ক করার নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।