ঘাটাল: রাতের খাওয়া সেরে প্রতিবেশীরাও শুয়ে পড়েছিলেন। তখনই ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। যতক্ষণে তাঁরা ঘরে যান, দেখেন শোওয়ার ঘরে বিছানার নীচে পড়ে বধূর শরীর। মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। ইতিমধ্যেও ওই গৃহবধূর শ্বশুর ও শাশুড়ি পরেশ মেটা ও ঊষা মেটাকে আটক করেছে পুলিশ।
দাসপুর পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে মাম্পির চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। চিৎকার শুনেই প্রতিবেশীরা তাঁর বাড়িতে যান। অভিযোগ, অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি। তখন দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিলেন প্রতিবেশীরা।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন,মাম্পির শরীর তখন শোওয়ার ঘরে বিছানার নীচে ছিল। তাঁর শরীরে প্রাণ ছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে পাঠান স্থানীয় বাসিন্দারা। পাড়া প্রতিবেশীদের অভিযোগ, নিয়মিত শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁর বৌমার ওপর শারীরিক অত্যাচার চালাতেন। মাম্পির স্বামী প্রশান্ত ভিন রাজ্যে সোনার কাজ করেন। তাঁদের একটি বছর দুয়েকের সন্তানও রয়েছে।
মাম্পি ও প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকালে শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করেছে দাসপুর থানার পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাম্পি। তাঁর স্বামীকেও খবর দিয়েছে পুলিশ। তিনি ভিন রাজ্য থেকে ফিরছে।