Ghatal Crime: হাতে শাখা-পলা, কপালে সিঁদুর, নিম্নাঙ্গ বিবস্ত্র! নদীর ধারে ফাঁকা জায়গায় মহিলাকে দেখে ঘাবড়ে গেলেন স্থানীয় দোকানি
Ghatal Crime: পাশ দিয়ে বলে গিয়েছে কাঁসাই নদী। স্থানীয়রা বলছেন, এমনিতে ওই এলাকায় বেশি কেউ যাতায়াত করেন না। তবে ফাঁকা এলাকায় প্রেম করতে আসেন অনেক যুবক-যুবতীই।
পশ্চিম মেদিনীপুর: নদীর ধারের সরু রাস্তায় সে অর্থে লোকের যাতায়াত খুব বেশি থাকে না। সন্ধ্যার পর ফাঁকাই হয়ে যায় এলাকা। সকালে স্থানীয় কয়েকজন নদীতে মাছ ধরেন। কিছু দোকানের ব্যবসায়ীদেরও আনাগোনা ছিল সেখানে। বুধবার সকালে তাঁরাই দেখতে পান নদীর ধারে বড় বড় পাথরের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে কিছু একটা। কাছে যেতে দেখেন একটা বস্তা। সেখান থেকে কালো চুলের মতো কিছু একটা বেরিয়ে থাকতে দেখেন। তাতেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাঁরা খবর দেন থানায়। পুলিশ গিয়ে বস্তা খুলে এক মহিলার থেঁতলে যাওয়া ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে। নারীদিবসের পরদিনই ভয়ঙ্কর ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের কলোড়া এলাকায়।
পাশ দিয়ে বলে গিয়েছে কাঁসাই নদী। স্থানীয়রা বলছেন, এমনিতে ওই এলাকায় বেশি কেউ যাতায়াত করেন না। তবে ফাঁকা এলাকায় প্রেম করতে আসেন অনেক যুবক-যুবতীই। বুধবার সকালে ওই এলাকা গিয়েছিলেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁরা জলের ধারেই পাথর চাপা দিয়ে একটা কিছু পড়ে থাকতে দেখেন। হাঁটু দুটো জোড়া করে পাথরের ওপর দিয়ে ওঠা। আর মাথা-পা বস্তা দিয়ে পেঁচানো। উদ্ভূত অবস্থায় দেহটি পড়ে ছিল গোড়ালি ডোবা জলের মধ্যে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা কাঁসাই নদী থেকে বস্তাবন্দি দেহটি উদ্ধার করেন। দেখা যায়, হাতে রয়েছে শাখা পলা। কপালে সিঁদুর। মহিলা দৃশ্যতই বিবাহিত। তবে মহিলার কোনও পরিচয় জানা যায়নি। মুখটা থ্যাতলানো ছিল। এলাকাবাসীরা তাঁঁকে সেভাবে চিনতে পারেননি। পুলিশ ওই মহিলার ছবি তুলে আশেপাশের থানাগুলিকেও দিয়েছে।
এলাকায় কেউ নিখোঁজ রয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পরিচয় জানা গেলে, খুনের মোটিভও অনেকটা স্পষ্ট হবে বলে বলছেন তদন্তকারীরা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ঘাটালে।
আরও পড়ুন: Sonarpur Crime: সন্ধ্যা হলেই কাগজ কুড়োতে পাড়ায় ঢুকত দুই মহিলা… আসল পরিচয় জেনে স্তম্ভিত পড়শিরাই