
খড়্গপুর: আইআইটি খড়্গপুরে আরও এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। মৃত ছাত্রের নাম রিতম মণ্ডল (২১)। আইআইটি ক্যাম্পাসে রাজেন্দ্র প্রসাদ হলের ২০৩ নম্বর রুমে তিনি থাকতেন। সেই রুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। চলতি বছরে এই নিয়ে আইআইটি খড়্গপুরে চার ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন রিতম। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে রুমের দরজা না খোলায় ওই হলের অন্য আবাসিকরা ম্যানেজমেন্টকে খবর দেয়। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ আইআইটি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে খবর দেয় হিজলি ফাঁড়িতে। পুলিশ এসে তাঁর রুম খুলে দেখে, গলায় গামছা দিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন ওই ছাত্র। ক্যাম্পাসের মধ্যে বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ওই ছাত্রের বাড়ি কলকাতার রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায়। তাঁর বাবার নাম উত্তম মণ্ডল। আইআইটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রিতমের পরিবারকে খবর পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২ মাস বাড়িতে থাকার পর কয়েকদিন আগেই হস্টেলে ফিরেছিলেন এই পড়ুয়া। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি কোনও চাপে রয়েছেন, এমন কথা বন্ধুদের কাছে কখনও বলেননি। ফলে তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে। কী কারণে মৃত্যু, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ময়নাতদন্তের পরই ওই ছাত্রের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে। যত দ্রুত সম্ভব এই নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ওই কমিটিকে।
এর আগে গত ৪ মে মহম্মদ আসিফ কামার নামে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার আগে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি ও ২১ এপ্রিল দুই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়েছে। সবমিলিয়ে চলতি বছরে এই সাতমাসেই চার পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে আইআইটি খড়্গপুরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কেন একের পর এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।