দাসপুর: যমজ কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। তার পর থেকেই দিনের পর দিন অত্যাচার চলেছে। সম্প্রতি বাড়ি থেকে বেরও করে দিয়েছেন স্বামী। এই অভিযোগ করে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন গৃহবধূ। হাতে প্লাকার্ড ও দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ধর্নায় বসেছেন ওই গৃহবধূ। বুধবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার বেলিয়াঘাটা গ্রামের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। যমজ দুই মেয়েকে নিয়ে সংসারের অধিকারের দাবিতে গৃহবধূর ধ্রনা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ।
যমজ সন্তানদের নিয়ে ধর্নায় বসে থাকলেও বাড়িতে ঢুকতে পারেননি ওই গৃহবধূ। জানা গিয়েছে, দাসপুরের বেলিয়াঘাটা গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যুৎ ঘোড়ই এর সঙ্গে বিয়ে হয় দাসপুরের রানিচকের বাসিন্দা স্বদেশ ঘোড়ইয়ের মেয়ে মৌমিতা ঘোড়ইয়ের। ৮ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। বছর কয়েক আগে মৌমিতা যমজ দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এর পর থেকেই সংসারে লেগে থাকত চরম অশান্তি। কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় মৌমিতাকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মাঝেমধ্যে মৌমিতা শ্বশুরবাড়িতে আসলেও তাঁর স্বামী শাশুড়ি ও শ্বশুর তাঁকে মেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
অবশেষে বুধবার স্বামীর বাড়ির সামনে সন্তানদের নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ধর্নায় বসেন গৃহবধূ। দীর্ঘক্ষণ ধরে ধর্না চলতে থাকে। পুলিশ প্রশাসন আসলেও বাড়ির ভিতর থেকে বের হয়নি অভিযুক্ত বিদ্যুৎ ও তার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনা নিয়ে বাড়ির সামনে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ে। এ নিয়ে মৌমিতা বলেছেন, “আমার মেয়ে হওয়ার পর থেকেই বাড়িতে অশান্তি। মারধর করে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।” মৌমিতার বাবা বলেছেন, “অনেক স্বপ্ন নিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু যমজ মেয়ে হতেই অশান্তি। আমার মেয়ের উপর খুব অত্যাচার করে। থাকতে দেয় না।”