
ঘাটাল: নেই মা-বাবা। জন্মের পর থেকেই মামাবাড়িতে দাদু দিদিমার কাছে মানুষ। ছোট থেকেই স্কুল শিক্ষকদের সহযোগিতায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে রিয়া। মাসখানেক আগে মারা গিয়েছেন দাদু। মাত্র দু’নম্বরের জন্য উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম দশে স্থান পায়নি মেয়েটা। ‘মিস’ হয়েছে মেধা তালিকা। তাই এত ভাল রেজাল্টের পরও চোখে জল ঘাটালের এই পড়ুয়ার।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের ছাত্রী রিয়া দে-র। এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৬। জন্মের পর থেকেই ঘাটাল পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড নিশ্চিন্তপুর এলাকায় মামা বাড়িতে দাদু দিদিমার কাছে মানুষ। দিদিমার মুখেই সে জেনেছে জন্মের আগেই তার বাবা সুকুমার নিরুদ্দেশ হয়ে যান। আর মা টুম্পা দে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তারপর থেকেই দিদা-দাদু হাতে করে মানুষ করেছে মেয়েটাকে।
রিয়ার দিদা জানালেন, ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিল রিয়া। স্কুল শিক্ষক সহ শিক্ষাকর্মীদের সহযোগিতায় পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে সে। এবার উচ্চমাধ্যমিকে ৪৮৬ নম্বর পেয়েও চোখে জল। একমাস আগেই হারিয়েছে দাদুকে। বুধবার রেজাল্ট বেরিয়েছে। রিয়া বলল, “আমি গৃহশিক্ষকদের কাছে থেকে এই রেজাল্টের খবর জেনেছি। আরও ভাল লাগত যদি প্রথম দশের মধ্যে থাকতাম। আমার স্কুলের শিক্ষকরা অনেক সাহায্য় করেছে আমায়। বই-খাতা দিয়ে শিক্ষকরা খুব সাহায্য করেছেন। আমি বড় কিছু দিদার জন্য করতে চাই।”