পিংলা: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে লাগাতার অশান্তি। কিছুতেই থামছিল না। কারণ একটাই। সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি। আর তার জেরেই সাংসারিক শান্তি এক প্রকার প্রায় উড়েই গিয়েছিল। শেষমেশ সব সমস্যা মেটাতে এমন পথ বেছে নেবেন তা হয়ত কেউ ভাবেনি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার অন্তর্গত মালিগ্রাম ৫ নম্বর অঞ্চলের নিবেদিতা এলাকা। সেখানে স্ত্রী-র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন করলেন স্বামী। গুরুতর জখম প্রেমিকও। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন স্বামী স্ত্রী-র মধ্যে অশান্তি চরমে উঠেছিল। একই বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ তাঁরা পরস্পরের থেকে আলাদা ভাবেই বসবাস করতেন। অভিযোগ, গত কয়েক মাস থেকে পাশের গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে মহিলার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর রবিবার সন্ধ্যেবেলা বাড়িতে ওই যুবকের সঙ্গে স্ত্রীকে দেখতে পান স্বামী। তারপরই ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে থাকা শিল নোড়া দিয়ে স্ত্রী ও যুবককে আঘাত করে। আঘাতের ফলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় মহিলার। মারের আঘাতে গুরুতর জখম হন প্রেমিক যুবকও।
পরে রাত্রিবেলা ওই যুবককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ দিকে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পিংলা থানার পুলিশ পৌঁছে মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। কী কারণে স্ত্রীকে খুন এবং এই ঘটনায় আর অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কি না? সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পিংলা থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘এসে দেখি দুজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভয়ে আমরা কিছু ধরিনি। আমরা বুঝতেই পারছিলাম না যে ওই মহিলা বেঁচে ছিলেন না মারা গিয়েছে। এক যুবককের সঙ্গে প্রেম ছিল মহিলার। সেইটাই মেনে নিতে পারেননি স্বামী। ওদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এর আগে অনেকবার মেরেছে। আমরা বাঁচিয়ে ছিলাম ওদের।’