
খড়্গপুর: গত কয়েকমাসে আইআইটি খড়্গপুরে একাধিক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তার কারণ নিয়েও নানা জল্পনা ছড়ায়। এবার আইআইটি খড়্গপুরের এক গবেষক পডুয়ার ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল। মৃত গবেষক পড়ুয়ার নাম ভাট্টরাম শ্রবণ কুমার। রবিবার রাতে কলকাতার একটি হাসপাতালে বছর সাতাশের এই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। কিন্তু, কীভাবে তিনি ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম হয়েছিলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
শনিবার গভীর রাতে খড়গপুরে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছিলেন ভাট্টরাম শ্রবণ কুমার। দ্রুত তাঁকে রেললাইনের ট্র্যাক থেকে উদ্ধার করে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন রবিবার রাত ১১টা নাগাদ ওই গবেষক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। শ্রবণ কুমারের বাড়ি অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তুরে। তিনি আইআইটি খড়্গপুরের মেঘনাদ সাহা হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
তাঁর মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠছে, শনিবার রেল ট্র্যাকে পৌঁছলেন কীভাবে শ্রবণ কুমার? তিনি কি নিজে গিয়েছিলেন? কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এর আগে চলতি বছরে আইআইটি খড়্গপুরে ৬ পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে ৫ জনের। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শোয়ান মালিক নামে এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। এরপর মার্চ ও এপ্রিলে ২ জন পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মার্চে মহম্মদ আসিফ কামার ও পরের মাসে অনিকেত ওয়ালকর নামে দুই পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জুলাই মাসে কয়েকদিনের ব্যবধানে আইআইটি খড়্গপুরে মৃত্যু হয় ২ জনের। ১৮ জুলাই রিতম মণ্ডল নামে এক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তিনদিন পর মৃত্যু হয় চন্দ্রদীপ পাওয়ার নামে এক পড়ুয়ার। সেপ্টেম্বরে হর্ষকুমার পাণ্ডে নামে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এর মধ্যে গলায় ওষুধ আটকে মৃত্যু হয় চন্দ্রদীপের। বাকি সবার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।