পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোটে হিংসার অভিযোগ। সোমবার রাজ্যজুড়ে বনধ ডেকেছে বিজেপি। জেলায়-জেলায় বনধের আংশিক প্রভাব পড়েছে। কোথাও-কোথাও আবার কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে তুলকালাম পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তা-ধস্তি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।
আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে বনধের সমর্থনে বিজেপি কর্মীদের মিছিল। ঘটনায় বন্ধ করা হয় দোকানপাট, ব্যাঙ্ক। ভাঙচুর করা হয় যাত্রীবাহী বাসের কাচ। এমনকী ঘাটাল মহকুমা আদালতে সামনে ও দলীয় পতাকা নিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপর ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য-সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এদিনের এই বিক্ষোভ অবরোধে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ অবরোধের জেরে দেখা দিয়েছে ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে তীব্র যানজট। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঘাটাল থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
বস্তুত, পুরভোটে দেদার ছাপ্পা, সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডাকে বিজেপি। সোমবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছে। দলের তরফে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই বনধের ঘোষণা করে বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিক দল নয়। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই বনধের সমর্থনে এগিয়ে আসুক। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে গেলে এইভাবে চলতে পারে না। বাংলাকে রক্ষার তাগিদেই সকলকে বনধে শামিল হতে হবে।’
রবিবার ভার্চুয়ালি সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমার নিজের জেলাতেই গঙ্গারামপুর পুরসভায় প্রায় ২-৩ হাজার বহিরাগত আনা হয়েছে। আমাদের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীকে বেধড়ক মেরেছে। তাঁর জীবন সংশয় আছে বলে শুনেছি। এভাবে ভোট করানোর কোনও মানেই হয় না। দু’জন সাংবাদিককেও মারা হয়েছে। সূত্র মারফৎ জেনেছি নির্বাচন কমিশনও বলেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমরা সোমবার ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে ১২ ঘণ্টার সর্বাত্মক বনধের ডাক দিচ্ছি।’