পশ্চিম মেদিনীপুর: পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই তৃণমূলে কম অশান্তি হয়নি। জেলায়-জেলায় নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন উচ্চ-নেতৃত্বের উপরে। কোথাও টায়ার জ্বলেছে, কোথাও জ্বলেছে কুশপুতুল। কোথাও আবার টিকিটে নাম না পেয়ে চোখের জল ফেলতে দেখা গিয়েছিল প্রার্থীদের। জেলায়-জেলায় পুরভোটের প্রার্থী তালিকায় নাম না পেয়ে একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী নাম লিখিয়েছিল নির্দলে। যদিও ছেড়ে কথা বলেনি উচ্চ-নেতৃত্ব। মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করারও হুমকি দেওয়া হয়। শুধু হুমকি নয়, অনেককে বহিষ্কারও করা হয়। যদিও, দলের কথা শুনে কেউ-কেউ নির্দল থেকে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নিলেও অনেকেই তা করেননি। বিগত কয়েকমাস ধরে চলা এই নাটকের যবনীকা পতন হল আজ। ঘোষণা হল পুরভোটের ফলাফল।
প্রথম থেকেই বিরোধী নয় গোঁজ কাঁটা নিয়ে ভয় ছিল শাসকদলের অন্দরে। তেমনটা হলও। পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের গোঁজ নির্দল প্রার্থী সুনীতি হালদার। ওই ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন মনোজ হালদার। তাঁর মা নির্দলে যোগ দেওয়ার পরই দল থেকে বহিষ্কার করা হয় মনোজবাবুকে। এবার ওই ওয়ার্ডে জিতেই তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ের হাসি হাসলেন সুনীতি দেবী। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অন্তরা সাহা পেয়েছেন ৩৮৪ ভোট। অন্যদিকে নির্দল প্রার্থী সুনীতি হালদার পেয়েছেন ৪৬১টি ভোট।
জয়ের পর চওড়া হাসি হেসে সুনীতি দেবী বললেন, “অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে জিতেছি। খুবই খুশি। ধন্যবাদ জানাব ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের আমার পাশে থাকার জন্য। আমিও এলাকাবাসীর পাশে থাকব।”
প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ফলপ্রকাশ। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ১১ হাজার ২৮০টি বুথে ভোট হয়েছে। এদিকে ফল ঘোষণা শুরু হতেই বিভিন্ন জায়গায় এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কোথাও আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতা জিতে গিয়েছে শাসকদল।
আরও পড়ুন: Municipal ELection Counting 2022: পদ্ম থেকে ঘাসফুলে ফিরেই জয়ের হাসি মন্ত্রীর ভাইয়ের মুখে