মেদিনীপুর: বাম আমলে একটি অ্যাম্বুল্যান্স কেনে খড়ার পুরসভা। সেটি খারাপ হওয়ার পর নতুন সরকারের আমলে আরও একটি অ্যাম্বুল্যান্স কেনা হয়। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত ৬ মাস ধরে সেই পরিষেবা বন্ধ। খড়ার পুরসভার ১০টি ওয়ার্ড। কারও যদি রাত বেরাতে বিপদআপদ হয়, সেই ঘাটাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স আনাতে হয়। এই ঘটনা ঘিরে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকার লোকজনের।
বাম আমলে সাংসদ অনিল বসুর তহবিল থেকে একটি অ্যম্বুলেন্স পেয়েছিল খড়ার পুরসভা। নতুন সরকার আসার পর ঘাটালের সাংসদ হন দেব। তাঁর তহবিলের টাকায় আরও একটি অ্যাম্বুলেন্স পায় খড়ার পুরসভা। দু’টি অ্যাম্বুলেন্সে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে দাবি পুরপ্রশাসনের।
পুরসভার গ্যারাজে পড়ে নষ্ট হচ্ছে অনিল বসুর তহবিলে কেনা অ্যাম্বুল্যান্স। আর সাংসদ দেবের তহবিলের টাকায় দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় বিকল হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব কুমার ঘোষের কথায়, কেউ অসুস্থ হলে অনেক টাকা খরচ করে রোগী হাসপাতালে পাঠাতে হয়। অ্যাম্বুল্যান্সটা যে কোথায়, কোনও জবাবও কেউ দিতে পারছে না। কিছু বললেই বলে পয়সা নেই। যিনি চেয়ারম্যান, তিনি তো কিছুই বলতে পারছেন না।
যদিও খড়ার পুরসভার চেয়ারম্যান সন্ন্যাসী দোলুইয়ের দাবি, “একটা অ্যাম্বুল্যান্স খারাপ হয়ে গিয়েছে। অনেক আগে থেকেই এটা খারাপ। তাই নতুন একটা আনা হয়েছে। সেটা চলছিল। কিছুদিন আগে দুর্ঘটনার কবলে পরে। সেটা ঠিকঠাক করে আবারও পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
এই ঘটনায় তৃণমূলকে একযোগে বিঁধেছে সিপিএম ও বিজেপি। বিজেপি নেতা অসিত সাঁতরার কথায়, ওয়ার্ডের কেউ যদি অসুস্থ হন তাহলে সেই ঘাটাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স আনতে হয়। প্রশাসন অযোগ্য তাই হয়ত এমনটা হচ্ছে। চেয়ারম্যান নির্বিকার, কাউন্সিলরও কিছু বলতে পারছেন না। অন্যদিকে সিপিএমের ফাল্গুনী বীর বলেন, “আমাদের সময়ে সাংসদ অনিল বসু একটা অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছিলেন। এখন বোধহয় দেব একটা দিয়েছেন। কিন্তু পরিষেবা তো পাওয়াই যায় না।“