জঙ্গলমহল: দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। তার মধ্যেই জারি রয়েছে কুড়মিদের আন্দোলন। এরই মধ্যে পদত্যাগ। একই বুথে তৃণমূল যুব সভাপতি অমল মাহাতো ও বুথ সভাপতির সুব্রত মাহাতো পদ ত্যাগ করলেন দুই নেতা। পদত্যাগী এই দুই নেতার বক্তব্য রাজ্য সরকার তাদের জন্য কিছুই করছে না তাই তারা তৃণমূলের পদ থেকে পদত্যাগ করছেন । গতকালও ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল লাগোয়া এলাকা থেকে তৃণমূল ও বিজেপি ছেড়ে কুড়মিতে যোগদান করেন তিন নেতা। এরপর মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরে অপর দুই নেতার পদত্যাগে বাড়ছে জল্পনা।
উল্লেখ্য, কুড়মিদের যে দাবি দাওয়া রয়েছে। সেই দাবি-দাওয়াকে সামনে রেখে সম্প্রতিক খেমাসুলিতে একটি বৈঠক হয় ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বদের নিয়ে। আর সেই বৈঠক শেষে ১২টি পর্যায়ে আন্দোলনের ধারা ঘোষণা করা হয়। যে সমস্ত আন্দোলন রয়েছে তার মধ্যে এই ‘মরদ ঢুঁড়া’ আন্দোলনও একটি । ‘মরদ ঢুঁড়া’ এর অর্থ স্বজাতির রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী, জনপ্রতিনিধিদের সমাজের দাবি পূরণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। তা করতে তাঁরা দায়বদ্ধ। আর ওনারা যদি দায়িত্ব এড়ায় তাহলে সমাজের মানুষেরও তাঁদের প্রতি কোনও দায়িত্ব-কর্তব্য থাকবে না। কুড়মি সমাজের নেতৃত্বরা মনে করছেন এই যে দুই রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাঁরা সমাজের কাছে একটা বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে।
এই বিষয়ে তৃণমূল যুব সভাপতি অমল মাহাতো বলেন, “আমাদের আন্দোলন চলছিল। সেই আন্দোলন সফল হলে তবেই আমরা ভোটে দাঁড়াতে পারব। সরকার কথা শুনছে না। তাই খেমাসুলিতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ভোটের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করা চলবে না। সরকার আমাদের জন্য কিছু করে না। ১৯৮২ সাল থেকে এই আন্দোলন চলছে।” উল্লেখ্য, জামবনি ব্লকের টুলিবড় এলাকা থেকে নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের কৃপা সিন্ধু মাহাতো এবং জাম্বনি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ভবতারণ মাহাতো, উপপ্রধান তথা পঞ্চায়েত সদস্য যুথিকা মাহাতো দল ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কুড়মি সংগঠনের ঝাণ্ডা কাঁধে তুলে নেন এবং কুড়মি সংগঠনে যোগদান করেন।