মেদিনীপুর : মেদিনীপুর থেকে শালবনি যাওয়ার জন্য রওনা এক বানজারা মহিলা। গর্ভবতী। মেদিনীপুর স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ প্রসব যন্ত্রণা। কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে কোনও অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাচ্ছিল না। অতঃপর মেদিনীপুর রেল স্টেশনেই সন্তান প্রসব করলেন বছর বত্রিশের মহিলা। স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মের ফুট ওভার ব্রিজেই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন দিনি। পরে রেল পুলিশের তরফ থেকে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে প্রসূতি এবং সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ‘১০২ এমার্জেন্সি’-তে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। এই অভিযোগের বিষয়টি জানানো হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক আয়েশা রানিকে। তিনি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে ওই মহিলা মেদিনীপুর থেকে শালবনি যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন। কিন্তু আচমকাই প্রসব যন্ত্রণা অনুভব করেন। তখন তিনি মেদিনীপুর রেল স্টেশনে। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের লোকেরা খবর দেন আরপিএফ কর্মীদের। খবর পাওয়া মাত্র রেল স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মের ফুট ব্রিজের যেখানে ওই মহিলা কাতরাচ্ছিলেন, সেখানে পৌঁছে যান আরপিএফ কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করা হয় ১০২ ইমার্জেন্সি নম্বরে। কিন্তু অভিযোগ, ফোনের ওপার থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২ ঘণ্টার আগে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পাওয়া যাবে না। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে প্লাটফর্মের ফুট ব্রিজেই সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। তারপর আরপিএম কর্মীরাই উদ্যোগী হয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন এবং ওই মহিলা ও সদ্যোজাতকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা ও সদ্যোজাত দু’জনেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। অন্যদিকে ইমার্জেন্সি নম্বরে ফোন করেও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা না পাওয়ার প্রসঙ্গে জেলাশাসক আয়েশা রানি আশ্বস্ত করেছেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তিনি। এদিকে রবিবার দুপুরের ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মেদিনীপুর স্টেশন চত্বরে। আশপাশের লোকেদের ভিড় হয়ে গিয়েছিল রেল স্টেশনে চত্বরে।