Dev: ‘এই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারছেন তো? উত্তরে দেব বলেছিলেন, এটা প্রায়োরিটি দিয়ে তৈরি করব, দেখুন নমুনা…’

Road Condition:এই কঙ্কালসার রাস্তা নিয়ে প্রায় ছ'থেকে-সাত বছর ধরে ভুগছেন এলাকাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, সাংসদ হওয়ার পর দীপক অধিকারী প্রথমে এই রাস্তা তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

Dev: এই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারছেন তো? উত্তরে দেব বলেছিলেন, এটা প্রায়োরিটি দিয়ে তৈরি করব, দেখুন নমুনা...
রাস্তার হাল!Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 01, 2025 | 11:04 AM

পিংলা: খানা-খন্দের শেষ নেই। চারদিকে এবড়ো-খেবড়ো গর্ত। তারপর বৃষ্টি শুরু হতেই আর কোনও কথা নেই। গাড়ি নিয়ে যাওয়া তো দূর, হেঁটেও যাতায়াত করা যাচ্ছে না। এই কঙ্কালসার রাস্তা নিয়ে প্রায় ছ’থেকে-সাত বছর ধরে ভুগছেন এলাকাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, সাংসদ হওয়ার পর দীপক অধিকারী প্রথমে এই রাস্তা তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কোথায় কী! কাজ যে কিছুই হয়নি আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন তাঁরা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের অন্তর্গত গোবর্ধনপুর থেকে মুদিবাড়ি—এই প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা গত ছয় বছর ধরে বেহাল। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। বর্ষায় কাদায় ডুবে যায় রাস্তা, গ্রীষ্মে ধুলোর ঝড়—পিণ্ডরুই সহ আশেপাশের গ্রামবাসীরা কার্যত বন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা অশোক সামন্ত বলেন, “ভোটের সময় দেব এসেছিলেন। একদম অনুষ্ঠান করে গাড়ি থেকে নেমে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে গিয়েছিলেন। আমরা তখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনি সাংসদ এই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারছেন তো? গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গেলেন। এমনকী চণ্ডীতলায় চা খেলেন। বলে গেলেন, না এই রাস্তার অবস্থা সত্যিই খারাপ। সেই সময় এটাও এরপরের প্রথম অগ্রাধিকার থাকবে এই জেলার মধ্যে এই রাস্তা প্রথম করব। নেই কোনও সাড়া শব্দ নেই। এখন আপনাদের কাছে আবেদন আমরা যাতে বাঁচতে পারি। রাস্তার কোনও কাজ হয়নি।”

পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, “প্রথমে টেন্ডার নিয়ে সমস্যা ছিল। এখন সেই সমস্যা মিটেছে।” বর্ষার আগেই কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।