
মেদিনীপুর: শনিবার ছিল মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা। সোমবার ইতিহাস। ছেলে ভোরেই উঠে গিয়েছিল। মা ভেবেছিলেন পড়তে বসবে। এই ভেবে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে যান মা। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ফিরেও আসেন। এসে দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা বন্ধ। ভেবেছিলেন ছেলে হয়তো বাইরে কোথাও গিয়েছেন। বাড়ির পিছনের দরজা থেকে ঢুকতে গিয়েছিলেন। জানলা দিয়ে ঘরের ভিতর উঁকি দিতেই দেখেন. ছেলের হাতের ফাঁক গিয়ে তাঁরই শাড়ির আঁচল ঝুলছে। তখনও বোঝেননি। দরজা খুলতেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেল মায়ের। মায়ের শাড়ির আঁচল গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শুভম দুয়ারি (১৬)। ঘটনাটি ঘটেছে পিংলার নারাথা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভম বাগনাবাড় হাইস্কুলের ছাত্র। তার পরীক্ষার সিট পড়েছিল তিলন্তপাড়া হাইস্কুলে। তার বাবা কর্মসূত্রে খড়্গপুরে থাকতেন। বাড়িতে মা ও ছেলে থাকতেন। রবিবার সকালে শুভমের মা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ছিলেন। ফিরে এসে দেখেন বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগানো। ভেবেছিলেন ছেলে হয়তো কোথাও বেরিয়েছে।
পরে পিছন দিয়ে বাড়ি ঢুকে দেখেন ছেলের ঘর ভেতর থেকে বন্ধ। শুধু জানালার কিছুটা ফাঁক দিয়ে শাড়ির আঁচল দেখতে পেয়েছিলেন। প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে দেখেন, ছেলে সিলিং ফ্যানে গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
শুভমের মা বলেন, “ছেলে বলেছিল পরীক্ষাটা মোটামুটি হয়েছে। আমি বলেছিলাম পাশ করে গেলেই হবে, ভাবিস না, পরের পরীক্ষাগুলোর জন্য মন দিয়ে পড়।” প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, এটাই আসল কারণ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।