মেদিনীপুর: বাড়িতে দু’খানা ঘর। থাকার মানুষ আটজন। সুজন হলে তেঁতুল পাতায় ন’ জনও থাকা যায়। তবে কোভিড হলে কপালে হাত! ডেবরা ব্লকের ঘোলুই গ্রামের ভট্টাচার্য বাড়িতে এখন সে অবস্থাই। কোভিড হওয়ায় বাড়ির সামনে মাঠে প্লাস্টিক, ত্রিপল দিয়ে গুমটি বানিয়ে সেখানেই দিন কাটাচ্ছেন বাড়ির কর্তা।
খড়গপুর আইআইটিতে নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে কাজ করেন সঞ্জীব ভট্টাচার্য। ছোট্ট দুই কামরার সংসার। পরিবারে সদস্য আটজন। এমনি সময়ে গাদাগাদি করে দিন গুজরান। কিন্তু সম্প্রতি শারীরিক কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করান। রিপোর্ট আসে পজিটিভ। তার পর থেকেই সঞ্জীবের থাকার জায়গা হয়েছে বাড়ির পাশে ফাঁকা মাঠে ত্রিপলের ছাউনি।
আরও পড়ুন: Corona Cases and Lockdown News Live: ২ডিজি নতুন কোনও ওষুধ নয়, খোলসা করল কেন্দ্র
এলাকার আশাকর্মী থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে জানিয়েও আলাদা ভাবে থাকার কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলেই দাবি সঞ্জীবের পরিবারের। এক প্রকার বাধ্য হয়ে ফাঁকা মাঠে প্লাস্টিক, ত্রিপল, বাঁশ দিয়ে কোনও রকমে একটি আস্তানা বানিয়েছেন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, বিষয়টি পাঁচ কান হওয়ার পর স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে এলাকার একটি প্রাইমারি স্কুলে আইসোলেশনে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে তা কবে হবে তা কেউ জানে না। সঞ্জীবের স্ত্রী রূপালী ভট্টাচার্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক কোনও সুবিধা তাঁর স্বামী পাননি। এমনকী গ্রামের আশাকর্মীরাও কোভিড আক্রান্ত মানুষটির কাছে কোনও ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন না। যদিও এ নিয়ে প্রশাসনের তরফে কোনও বক্তব্য এখনও মেলেনি।