পশ্চিম মেদিনীপুর: স্কুল ক্যাম্পাসেই মেধাবী ছাত্রের জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে স্কুলের মালিক গৌতম দাস ও ধীরা পাল দাসকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সোমবার সকালে
স্কুল ক্যাম্পাসে জলে ডুবে মৃত্যু হয় মেধাবী স্কুল ছাত্রের। পরিবারের সদস্যরা প্রথম থেকেই দাবি করছিলেন, তাঁদের সন্তানকে খুন করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার রানিগঞ্জের একটি স্কুলের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। কারণ সোমবার স্কুলে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, অথচ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল কীভাবে ঘটনা ঘটল, তা তারা বুঝতেই পারছে না। স্কুলের বিরদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে পরিবার। তদন্তকারীরাও স্কুলের মালিকের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
চন্দ্রকোনা রানিগঞ্জের বাসিন্দা শান্তিনাথ দত্তের ছেলে শুভজিৎ দত্ত নবম শ্রেণির ছাত্র। শুভজিৎ পড়ত মজীবনপুর পৌরসভার বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি স্কুলে। সোমবার সকালে স্কুল ক্যাম্পাসে জলে তার দেহ ভাসতে দেখা যায়। পরিবারের দাবি, দুপুর একটা নাগাদ তাদের কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে একটি ফোন আসে।
আর এখানেই বাদে যত গন্ডগোল। পরিবারের দাবি, শুভজিৎ সাঁতার জানত। ক্যাম্পাসের ভিতরেই পুকুরে জলে ডুবে কীভাবে মৃত্যু হল? পরিবারের আরও বক্তব্য, শুভজিতের দেহ উদ্ধার হয়েছে সকালে। কিন্তু স্কুলের তরফ থেকে তাদের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে দুপুর একটা নাগাদ।
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রধান গৌতম দাসের দাবি, বিষয়টি কীভাবে ঘটল তিনি জানেন না। স্কুলে নজরদারির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। এমনকি স্কুলে কোথাও নেই একটাও সিসিটিভি ক্যামেরা। কীভাবে ছাত্রের মৃত্যু, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।