মেদিনীপুর: সমবায় সমিতি নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে সামনে রেখে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। দুই গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে বিজেপিকে মনোনয়ন জমা করানোর জন্য মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব। সমবায় সমিতির সামনে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিশাল জমায়েত, একে অপরকে আটকানোর জন্য। ঘটনায় উত্তেজনা পরিস্থিতি, সামাল দিতে বিশাল বাহিনী। খাওয়া দাওয়াতেও বিভাজন,দেখা গেল। কেউ করল ডিম ভাত, তার সঙ্গে তরকারি, কেউ করল মাছ ভাত!
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের, ভগবন্তপুর দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধান্যঘরি সমবায় সমিতিতে, নির্বাচন ৪ ফেব্রুয়ারি। ৯ টি আসনে হবে ভোট, আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫-১৬-১৭ তারিখ নমিনেশন তোলা ও জমা দেওয়ার দিন ঠিক করা হয়। ইতিমধ্যেই ন’টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিয়ে দিয়েছে। সেই মতোই ১৭ তারিখ অর্থাৎ আজ শেষের দিনে তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি ইসমাইল খান ও সভাপতি রামকৃষ্ণর রায়ের অনুগামীরা সমবায় সমিতি চত্বরে জমায়েত হয়। এক কথায় সমবায় সমিতির তৃণমূলের কোন নেতার হাতে থাকবে।
এই নিয়ে সকাল থেকে উত্তেজনা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীকে সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় চন্দ্রকোণা থানা বিশাল পুলিশ বাহিনী। অঞ্চল তৃনমূলের সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের দাবি, বিজেপিকে আটকাতেই তাদের এই জমায়েত। রামকৃষ্ণ রায়ের অনুগামী তথা অঞ্চল কমিটির এক মেম্বারের দাবি, “সহ সভাপতি ইসমাইল খানের অনুগামীরা বিজেপিকে মদত দিয়ে নমিনেশন জমা দিতে পারে, তাই এই জমায়েত।” অপরদিকে ইসমাইল খানের দাবি, “রামকৃষ্ণ অনুগামীরা বিজেপিকে মদত দিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়াতে পারে, তাই এই জমায়েত।” এই উপলক্ষে খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে মেনুতেও ছিল ফারাক। কেউ মাছ ভাত, কেউ ডিম ভাতের আয়োজন করেছিলেন।
তবে ঘটনাই যাই হোক পাল্টা তৃণমূলের উভয়পক্ষকে বেঁধেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুকান্ত দোলুইয়ের বক্তব্য, “সকাল থেকে মনোনয়ন জমা দিতে যেতেই পারিনি। কীভাবেই বা যাব। এখানে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী। অঞ্চল সভাপতি, সহ সভাপতির গোষ্ঠী। ওরা ওখানে ব্যাপক জমায়েত করে চারদিক ঘিরে রেখেছে। ওরা গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে আটকাচ্ছে।”