মেদিনীপুর: ধীরগতিতে কমছে ঘাটালের প্লাবিত এলাকা থেকে বন্যার জল, এখনও ঘাটালের রাজ্য সড়ক আড়গোড়ার চাতালে রয়েছে জল। জল কমলেও সমস্যা কমছে না ঘাটালবাসীর। এখনও জলে ডুবে রয়েছে ঘাটাল পৌর এলাকা-সহ গ্রামীণ বিস্তীর্ণ এলাকা। জলে ডুবে রয়েছে পৌর একাধিক রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি, নৌকা ও ডিঙি করে চলছে যাতায়াত, সমস্যায় ঘাটালের বানভাসি এলাকার মানুষজন। আরও কতদিন জল যন্ত্রণায় ভুগতে হবে বা কবেই মিলবে এই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে ঘাটালের বানভাসিয়ে এলাকার মানুষজন।
অন্যদিকে, দিন দশেকের ওপরে বন্যা কবলিত ডেবরার বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও জলের তলায় ডেবরার গোলগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের খাজুরি-সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। খাওয়ার বা পানীয় জল তো দূর অস্ত, গ্রামের ভেতর থেকে বাইরে আসতে গেলে যাতায়াতের একমাত্র উপায় কলার ভেলা বা এক কোমর জল পেরিয়ে যাতায়াত চলছেে।
মেলেনি খাওয়ার, মেলেনি ত্রাণ! দেখা মেলেনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। ক্ষোভে ফুঁসছে ডেবরার খাজুরি, করণ্ডা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। কাঁসাইয়ের বাঁধ ভেঙে দশ বারো দিনের ওপরে প্লাবিত গোটা এলাকা।
নৌকা বা ডিঙি নয়, এই এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কলার ভেলা। বারবার সরকারি সহায়তার আবেদন জানিয়েও কোনো সুরাহা মেলেনি বলেই দাবি বন্যা দুর্গতদের। উল্লেখ্য প্রতি বছর বানভাসি হতে হয় এই এলাকার মানুষদের। অভিযোগ, প্রতিবছর বন্যায় ডুবলেও দেখা মেলে না কোন জনপ্রতিনিধির। ভোট আসলে রাজনৈতিক নেতাদের দেখা মিলে এলাকায়, কিন্তু ভোট মিটে গেলে আর কারো দেখা পাওয়া যায় না অভিযোগ ঠিক এমনটাই ।