
চন্দ্রকোনা: কাঠের কাজ করতে গিয়েছিল ওড়িশায়। কিন্তু বাঙালি হওয়ার জন্য হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে বলে দাবি। কোনও মতে প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরে এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বাসিন্দা হানিফ আলি। তবে বাড়ি ফিরলেও মাথায় হাত হানিফের। কীভাবে চলবে সংসার? রাজ্যে ফিরেও তেমন কাজ পাচ্ছেন না বলে দাবি তাঁর।
ওড়িশায় কীভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে সে কথা এদিন নিজের মুখেই জানালেন হানিফ। তিনি বলেন, “কাঠের কাজে গিয়েছিলাম। ওখানে বাংলাদেশি বলে আমায় তুলে নিয়ে গেল। তারপর আটকে দিল। পয়সা কিছু ছিল না। তারপর নিজের পয়সায় এসেছি এখানে। এখন খুব কষ্টে আছি। পার্টির লোকে মিলে যোগাযোগ করার পর চলে এসেছি। এখন খুব কষ্টে আছি। বাইরে তো যেতে পারছি না। সরকারের কাছে আবেদন যদি কিছু সাহায্য করা হয়।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের বেড়াবেড়িয়া গ্রামে থাকেন হানিফ ও তাঁর পরিবার। বৃদ্ধ বাবা-মায়ের পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে থাকেন ভাই ও বোন। ওড়িশায় থাকাকালীন রোজগারের সমস্যা হচ্ছিল না বলছেন তিনি। কিন্তু এখন চরম সঙ্কটে পড়েছেন তিনি। হানিফের দাবি, ওড়িশার বারান্দা থানা এলাকায় তাকে বাংলাদেশি সন্দহে আটকে রাখা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশাসনের সহযোগিতায় বেশ কয়েকদিন পর ছাড়া পান। এখন হানিফ ও তাঁর পরিবারের দাবি রাজ্য সরকারই পেট চালানোর জন্য যেন কোনও একটা উপায় বের করে দেন।