মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election 2023) আগে সব রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মতো করে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। বিধানসভায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া বামেরাও ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। জেলায় জেলায় চলছি শক্তি প্রদর্শনের পালা। এদিন মেদিনীপুর শহরে ডিওয়াইএফআই-এর (DYFI) তরফে একটি যুব সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। মূল ইস্যু ছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। সেই মঞ্চ থেকেই শাসক শিবিরের উদ্দেশে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানালেন বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। বললেন, “বামপন্থীরা লড়ছে। রাজ্যজুড়ে লড়ছে। গোটা রাজ্যে শুরু হয়েছে পাল্টা… কোথাও গাঁছে বেঁধে, কোথাও গলায় গামছা দিয়ে। বেশি ট্যাঁ ফুঁ করো না। যেদিন উন্মত্ত জনতা টেংরি ছাড়িয়ে নেবে, সেদিন বুঝবে।”
রাজ্যে শিক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ, আবাসে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও এদিন রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। কটাক্ষের সুরে বললেন, শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আস্থা ভেঙে যাচ্ছে। খোঁচা দিলেন মিড ডে মিলে মাংস খাওয়ানো নিয়েও। বাজেট না বাড়িয়ে ভোটের আগে কীসের ভিত্তিতে মিড ডে মিলে মাংস খাওয়ানো হচ্ছে? সেই নিয়েও প্রশ্ন মীনাক্ষীর। এই সবই আসলে শুধু ভোট রাজনীতি বলেই মনে করছেন বামেদের তরুণ তুর্কি। বামপন্থীদের উদ্দেশে মীনাক্ষীর বার্তা, যদি পশ্চিমবঙ্গে কাজের পরিবেশ চান, বুথে বুথে প্রতিরক্ষা কমিটি তৈরি করুন।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপ্ত বাক্যবাণে চড়ছে রাজনীতির পারদ। চলছে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের পালা। শাসক, বিরোধী কোনও দলই পিছিয়ে নেই। এবার মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গেল ঝাঁঝালো আক্রমণ। ‘টেংরি ছাড়িয়ে নেওয়ার’ এই হুংকারের বিষয়ে অবশ্য পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। নন্দীগ্রামের বিধানসভা ভোটে মীনাক্ষীর হারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “তাঁর জামানত জব্দ হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই করে উঠতে না পেরে প্রতিটি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা শুধুমাত্র ভাষা সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিজেদের দলকে টিকিয়ে রাখতে চাইছে।”