Maoists in West Bengal: রাজ্যে মাওবাদী বলে কিছু নেই, দাবি করলেন মন্ত্রী

Maoists in West Bengal: সম্প্রতি একাধিক জায়গায় চোখে পড়েছে মাওবাদী পোস্টার। বনধের ডাকও দিয়েছিলেন মাওবাদীরা।

Maoists in West Bengal: রাজ্যে মাওবাদী বলে কিছু নেই, দাবি করলেন মন্ত্রী
হলদিয়ায় মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 09, 2022 | 10:01 PM

হলদিয়া: রাজ্যের বিরোধী নেতা অবসাদে ভুগছেন, অবসাদ কাটাতেই তো ভুলভাল বকছেন। মাওবাদীদের উপস্থিতি অভিযোগ তোলায় নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। মন্ত্রীর দাবি, মাওবাদী বলে কিছু নেই, আসলে জঙ্গল মহলে বিরোধী দলের লোকেরাই মাওবাদী পোস্টার দিচ্ছেন। পূর্ব মেদিনীপুরে হলদিয়ায় এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী। সম্প্রতি জঙ্গলমহল সহ ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায় নতুন করে মাওবাদীদের উপস্থিতি প্রকাশ্যে আসে। শুধু পোস্টারই নয়, সম্প্রকি বাংলা বনধের ডাকও দিয়েছিল মাওবাদীরা। আর তারপরই এমন মন্তব্য করতে শোনা গেল মন্ত্রীকে।

মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের দাবি, শুভেন্দু এখন অবসাদে ভুগছেন। অবসাদ থেকে কাটিয়ে উঠতে এবং প্রচারের আলোয় আসতে ভুল বকে চলেছেন বলে কটাক্ষ করেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, এই ধরনের কথা বলে যদি উনি তৃপ্তি পান তাহলে বলতে থাকুক। পাশাপাশি মাওবাদীদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গলমহলে মাওবাদী বলে কেউ নেই। জঙ্গলমহলের অনুন্নয়নকে হাতিয়ার করে এক সন্ত্রাসবাদী দল গড়ে উঠেছিল। তাঁদের সারল্যের সুযোগ নিয়েছিলেন অনেকেই। তবে ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছিলেন। এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে। মাওবাদী বলে কেউ নেই। কিছু বিরোধী পক্ষের মানুষ মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার দিচ্ছে আর সন্ত্রাস করে চলেছে।’

সম্প্রতি মাও উপস্থিতি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জঙ্গলমহলে। মাওবাদীদের ডাকা বনধের আগের দিন ল্যান্ড মাইন উদ্ধার হয়েছে ওই এলাকা থেকে। এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে তীব্র আতঙ্ক। পশ্চিম মেদিনীপুর ,পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাংলা বনধের সমর্থনে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি থানার সীমানা এলাকায় সিআরপিএফ জওয়ানরা তল্লাশি চালানোর সময় ল্যান্ড মাইন দেখতে পায়। এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: Slum Eviction in Digha: বস্তি তুলে তৈরি হবে হোটেল, তৃণমূলের নামেই চলছে দাদাগিরি