Paschim Medinipur: মুসলিমদের কাছে জানাজার মাঠ, হিন্দুদের কাছে পুজোর, একটা মাঠেই সম্প্রীতির ছোঁয়া এই বাংলায়

Paschim Medinipur: দেবছায়া নবারুণ সংঘ পুজো কমিটির সভাপতি ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় বলেন,"যে বছর দুর্গাপুজোর সময় ইদ পড়ে তখন কেবলমাত্র মাঠের মাঝামাঝি কাপড় দিয়ে ঘেরা হয়। একদিকে ওঁরা নামাজ পড়েন। একদিকে আমরা পুজো করি।"

Paschim Medinipur: মুসলিমদের কাছে জানাজার মাঠ, হিন্দুদের কাছে পুজোর, একটা মাঠেই সম্প্রীতির ছোঁয়া এই বাংলায়
সম্প্রীতির নজির মাঠে Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Mar 31, 2025 | 9:23 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: একপাশে রয়েছে মুসলিমদের শব রাখার স্থায়ী বেদী। সেখানে শব রেখে জানাজার আগে প্রার্থনা করেন ইসলাম সম্প্রদায়ের মানুষ। আবার ইদের নামাজও পড়েন। অন্যদিকে, রয়েছে পুজোর জন্য ছোট্ট বেদী। যেখানে দুর্গা-কালী,সরস্বতী পুজোও হয়। সেই পুজোয় হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। তা নিয়ে কখনও মতবিরোধ দেখা দেয়নি। মেদিনীপুর শহরের সিপাইবাজার এলাকার দেবছায়া কলোনীর মাঠে এমনটাই হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়,তুষার মাইতিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উৎসব পালন করেন হামিদ খান, মিরাজুল ইসলামরা।

দেবছায়া নবারুণ সংঘ পুজো কমিটির সভাপতি ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় বলেন,”যে বছর দুর্গাপুজোর সময় ইদ পড়ে তখন কেবলমাত্র মাঠের মাঝামাঝি কাপড় দিয়ে ঘেরা হয়। একদিকে ওঁরা নামাজ পড়েন। একদিকে আমরা পুজো করি।” একইভাবে পুজোর সময় হঠাৎ কারও মৃত্যু হলে? তখন মৃতদেহ তো ওই মাঠেই নিয়ে যাওয়া হয় জানাজার প্রার্থনার জন্য। ফাল্গুনী বলেন,”আমরা সেই সময় পুজোর মাইক বন্ধ রাখি,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে সেটাও বন্ধ রাখি। ওদের প্রার্থনা শেষ হলে আবার পুজোর মাইক,অনুষ্ঠান শুরু হয়।”

সিপাইবাজার-বড়আস্তানা মুসলিম সমাজ উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক হামিদ খান বলেন, “পুজো কমিটির সঙ্গে আমাদের কখনও বিবাদ হয়নি। কার কখন মৃত্যু হবে তা তো বলা যায় না। একবার দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিনে আমাদের এলাকার একজনের মৃত্যু হল। তখন অষ্টমীর অঞ্জলি চলছে। আমরা জানাজা মাঠে গেলাম। আমরা পৌঁছতেই ওঁরা মাইক বন্ধ করে দিল। আমরা প্রার্থনা করলাম,ওঁরা মাইক বন্ধ রেখে অঞ্জলি দিল।”

সংগঠনের সভাপতি সেখ মিরাজুল ইসলাম বলেন,”নজরুলের একটি বৃন্তে দুটি কুসুম বলুন কিংবা জসীমউদ্দিনের নকশী কাঁথার মাঠের রূপাই-সাজুর অবিনশ্বর প্রেম কাহিনীর কথা বলুন –এই মাঠ সম্প্রীতির নজির হয়ে থাকবে। আমাদের কাছে এটি জানাজা মাঠ। আর হিন্দুদের কাছে এটিই পুজোর মাঠ। আমরা সবদিন এই সম্প্রীতির বন্ধ অটুট রাখব।”