
কেশিয়াড়ি: পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি বিডিও অফিসের হিসাবরক্ষক তথা হেড ক্লার্কের অস্বাভাবিক মৃত্যু। মৃতের নাম অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়। ভাড়া বাড়ি থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিডিও অফিসের ওই আধিকারিককে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে কেশিয়াড়িতে ভাড়া বাড়ি থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়ের দেহ। গলা থেকে গাল পর্যন্ত গভীর ক্ষত রয়েছে। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, বছর আটত্রিশের অভিষেকের বাড়ি মেদিনীপুর শহরে। কিন্তু, কর্মসূত্রে কেশিয়াড়িতে থাকতেন। তাঁর সহকর্মীরা জানান, সোমবারও অফিসে গিয়েছিলেন অভিষেক। মঙ্গলবার অফিসে আসেননি। সহকর্মীরা তাঁর খোঁজ করেন। তারপরই মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন সহকর্মীরা। কিন্তু, কে বা কারা, কেন খুন করল, তা নিয়ে কোনও কিছু বলতে পারছেন না। খবর পেয়ে গ্রামীণ হাসপাতালে আসেন অভিষেকের স্ত্রী ও বাড়ির লোকজন। অভিষেকের ১১ বছরের এক সন্তান রয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “এই রাজ্য গুন্ডাদের হাতে চলে গিয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছেন তিনি।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তারা মনে করছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে খুন করা হয়েছে বিডিও অফিসের এই কর্মীকে। ওই ভাড়া বাড়িতে অভিষেকের সঙ্গে একাধিকজন থাকতেন। তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।