Nischay Yan: প্রসূতিকে নিয়ে যেতে ৪০০ টাকা ‘আবদার’, হেসে যুক্তিও দিলেন নিশ্চয়যান চালক

Nischay Yan: প্রসূতির স্বামী ত্রিলোচন জানা বলেন, গত ২৫ মার্চ তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা ভুঁইয়া জানা গর্ভবতী অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যালের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি হন। ওইদিনই তাঁর স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন। সোমবার বিভাগীয় চিকিৎসকেরা প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেন।

Nischay Yan: প্রসূতিকে নিয়ে যেতে ৪০০ টাকা আবদার, হেসে যুক্তিও দিলেন নিশ্চয়যান চালক
নিশ্চয়যানের চালক রাকেশImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Apr 01, 2025 | 1:16 PM

মেদিনীপুর: প্রসূতিদের বিনামূল্যে বাড়ি পৌঁছে দিতে রয়েছে সরকারের নিশ্চয়যান প্রকল্প। সেই নিশ্চয়যানেই এক প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল নিশ্চয়যান চালকের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগের বাইরে। এই নিয়ে শোরগোল পড়তেই হেসে যুক্তিও দিলেন নিশ্চয়যান চালক।

প্রসূতির স্বামী ত্রিলোচন জানা বলেন, গত ২৫ মার্চ তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা ভুঁইয়া জানা গর্ভবতী অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যালের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি হন। ওইদিনই তাঁর স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন। সোমবার বিভাগীয় চিকিৎসকেরা প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেন। এরপরই প্রসূতির পরিবার ১০২ নম্বরে ফোন করে নিশ্চয়যান চান বাড়ি ফেরার জন্য।

কিন্তু সেই নিশ্চয়যানের চালক তাঁদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য ৪০০ টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। না দিতে পারায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় প্রসূতি ও তাঁর পরিবারকে। ত্রিলোচন জানা বলেন, “আমি বলি, আমরা গরিব মানুষ। টাকা দিতে পারব না। তখনই আমাদের নামিয়ে দেওয়া হয়।”

যদিও অভিযুক্ত নিশ্চয়যানের চালক রাকেশ গাড়ি থেকে প্রসূতিকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি টাকা দাবি করেছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। হেসে যুক্তিও দেন। বলেন, “২০০ টাকা আবদার করেছিলাম। আর তিনজনের জায়গায় চারজন যাচ্ছিল বলে আর ২০০ টাকা চেয়েছিলাম।” শেষ পর্যন্ত নিজের ‘আবদার’ সরিয়ে রেখে প্রসূতি ও তাঁর পরিবারকে বিনামূল্যেই গন্তব্যে নিয়ে যেতে রাজি হন। তাড়াতাড়ি সবাইকে গাড়িতে তুলে রওনা দেন তিনি।