
চন্দ্রোকানা (পশ্চিম মেদিনীপুর): রাজ্যজুড়ে বেশ কিছু বুথ রয়েছে কমিশনের (Election commission) নজরে। যে বুথে মৃত ভোটার নেই। এমনকী, সেখানে ঠিকানাও বদল করেননি অনেকে। এই সকল বুথগুলি নজরে রয়েছে কমিশনের। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তবে রাজ্যের বাকি জেলার অনেকবুথেই এমন লক্ষ্য করা গিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমায় চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানকার একটি বুথে ৫১৭ জন ভোটার। কিন্তু মৃত ভোটার নেই একজনও। সেই কারণে এই বুথে বিশেষ নজর দিয়েছে প্রশাসন।
চন্দ্রকোনার এই ১৪৮ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫১৭। মোট এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজ হয়েছে ৫১৩ জনের। ৪ জন স্থায়ীভাবে ঠিকানা বদল করেছেন। চন্দ্রকোনা পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ডে। মোট ২১ টি বুথ রয়েছে। ২০টি বুথ মিলিয়ে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪৯। সেখানে একমাত্র ১৪৮ নম্বর বুথেই নেই কোনও মৃত ভোটার। এমনই বলছে বিধানসভা ভিত্তিক নির্বাচন কমিশনের দেওয়া প্রতিদিনের রিপোর্ট। যা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
বিডিও কী বলছেন?
এই ১৪৮ নম্বর বুথের বিএলও বিকাশ লাহা বলেন,”আমার বুথের ভোটার তালিকা পুরো যাচাই করুক কোনও অসুবিধা নেই। আমি ২০১২ সাল থেকে এই কাজ করছি। আমার বুথে কেউ মারা গেলে ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার ১৫ দিনের পর আমি খোঁজ নিয়ে তাঁর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া কাজ করে এসেছি। এসআইআর শুরু হওয়ার আগেও আমি দু’জন মৃত ভোটারের নাম বাদ দিয়েছি। পৌরসভার দেওয়া ডেথ লিস্ট ও ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখলেই তো স্পষ্ট হয়ে যাবে। এটা নিয়ে ভাববার কিছু নেই।”এই বুথের বিএলও বিকাশ লাহা জানালেন, এই বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। তবে বিএলও’র কাজ নিয়ে যে তাঁদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ নেই তা স্পষ্ট করেন।
প্রসঙ্গত, এই বুথের গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা উত্তম হাতি দেড় বছর আগে মারা গিয়েছেন। বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী বন্দনা হাতি। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসআইআর শুরু আগেই তাঁর স্বামীর নাম ভোটার তালিকা বাদ দিতে তার বাড়িতে বিএলও এসেছিলেন। তিনি যাবতীয় তথ্য নিয়ে গিয়েছেন। এমনকী তালিকা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেন বলেও জানিয়েছেন বন্দনা দেবী। তারপর কীভাবে এই ঘটনা তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।