Suicide Case: দেনার দায়ে ডুবে গিয়েছিলেন, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী আলু ব্যবসায়ী

Debabrata Sarkar | Edited By: Soumya Saha

Jan 06, 2024 | 5:10 PM

Potato Seller: পরিবারের দাবি, দেনার কারণে মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন গড়বেতার এই আলু ব্যবসায়ী। গতরাতেই তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় দ্বারিগেড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে সেখান থেকে স্থানান্তিরত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। শনিবার ভোরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই আলু ব্যবসায়ীর।

Suicide Case: দেনার দায়ে ডুবে গিয়েছিলেন, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী আলু ব্যবসায়ী
আলুর ব্যবসা (প্রতীকী ছবি)
Image Credit source: Facebook

Follow Us

গড়বেতা: গড়বেতায় একটি আলুর দোকান চালাতেন বছর পঞ্চান্নর চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। দীর্ঘদিনের ব্যবসা। প্রায় ২৫ বছর ধরে আলুর ব্যবসা করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দেনার দায়ে ডুবে যান। শেষে গতরাতে নিয়ে ফেলেন চরম সিদ্ধান্ত। বিষ পান করে আত্মঘাতী হন প্রৌঢ় আলু ব্যবসায়ী। পরিবারের দাবি, দেনার কারণে মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন গড়বেতার এই আলু ব্যবসায়ী। গতরাতেই তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় দ্বারিগেড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে সেখান থেকে স্থানান্তিরত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। শনিবার ভোরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই আলু ব্যবসায়ীর।

পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই বছর বেশ কয়েকজন কৃষকের কাছে বকেয়া টাকা দিতে পারেননি। এদিকে বাজারেও দেনার অঙ্ক জমতে শুরু করেছিল। সময়মতো দেনার টাকা মেটাতে না পাড়ায়, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ওই আলু ব্যবসায়ী। মৃতের দাদা জানাচ্ছেন, ‘আলু বেচে দেনার দায়ে পড়ে গিয়েছিলেন। সবাই তাগাদা দিতে শুরু করেছিল। তাই মানসিক চাপে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।’ আলুর ব্যবসায় ক্ষতির জন্যই চিত্তরঞ্জন মণ্ডল এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি তাঁর দাদার।

পরিবারের লোকেরা জানাচ্ছেন, ১৯৯৮ সাল থেকে আলুর ব্যবসা করছেন ওই প্রৌঢ়। আচমকা এই অঘটনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। গত কয়েকদিন ধরেই যে মানসিকভাবে অশান্তির মধ্যে রয়েছেন চিত্তরঞ্জনবাবু, তা কিছুটা টের পেয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু সবার অগোচরে যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসবেন তা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি বাড়ির কেউ। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে আর ফেরানো যায়নি।

Next Article